অভয়নগরে স্মার্টফোনে আসক্তি বিপথগামী স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থী, অভিভাবক মহল দিশেহারা।
যশোরের অভয়নগরে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখার স্বার্থে করোনাকালীন সময়ে ঘরে বসে অনলাইন ক্লাস করার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের হাতের স্মাট মোবাইল ফোন এখন অভিভাবকদের গলার কাটায় পরিনত হয়েছে। স্মার্টফোন আসক্তিতে বিপথগামী স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীরা অভিভাবকদের চোখে বৃদ্ধা আংগুল দেখিয়ে মোবাইল ফোন দিয়ে বিভিন্ন অপরাধ মুলক কাজকর্ম করছে।এছাড়াও উঠতি বয়সের শিক্ষার্থীরা,অনলাইন জুয়া, অনলাইন পর্ন সাইট সহ নানা নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। এতে সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ হারিয়ে যাচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায় অভয়নগরের নওয়াপাড়া বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের পাড়া মহল্লায় ঘুরে দেখা যায়, কিশোর তরুণেরা রাস্তার মোড়ে, গাছের নিচে, খোলা কোনো জায়গায়, স্কুল মাঠে, জুটি বেঁধে বসে ফোর্টনাইট, তিন পাত্তি, লুডু, জান্ডীমুন্ডা ফ্রি ফায়ার-পাবজি গেমসগুলো খেলছে বাদ যাচ্ছে না তরুণীরাও। যে স্থানে ওয়াইফাই ইন্টারনেট কানেকশন আছে সেখানে জটলা করে একসাথে বসে গেম খেলতে দেখা যায়। অনেকে আবার মোবাইলে অর্থের বিনিময়ে জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নওয়াপাড়া মডেল স্কুলের এক শিক্ষার্থীর মা বলেন, ‘তার ছেলে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। স্মার্টফোনে আসক্ত হয়ে সে এখন পাঠ্যবই পড়া বন্ধ করে দিয়েছে। এমন আসক্তিতে সে আর বিদ্যালয়ে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।’সন্তান কে নিয়ে এখন দিশেহারা অবস্থা। এবিষয়ে মহাকাল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষক মোঃ আবুল হোসেন বলেন, শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।’ এভাবেই যদি শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোনে আসক্ত হতে থাকে। তবে ভবিষ্যৎ তো হবে অন্ধকার। তাই প্রতিটি বিদ্যালয়ে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করার জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। অভিভাবকদের উচিৎ প্রয়োজনের বাইরে শিশুদের মোবাইল ফোন না দেওয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোনের আসক্তি থেকে মুক্ত হতে পারে। এবিষয়ে অভয়নগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) একেএম শামীম হাসান বলেন, মোবাইল ফোনে গেমস আসক্তির বিষয়টি উদ্বেগজনক। শিশু-কিশোরদের এ প্রবণতা ঠেকাতে অভিভাবকদের উদ্যোগ নিতে হবে। প্রশাসন তাদের সচেতন করতে কাজ শুরু করেছেন। মানুষকে সচেতন করতে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতেও এসব গেমসের কুফল নিয়ে আলোচনা করতে বলা হয়েছে। সম্প্রতি কিশোর গ্যাং তৈরি হচ্ছে মোবাইল আসক্তি থেকেই।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট