🤍স্মৃতির রঙ্গিন পর্দায় পেছন ফিরে দেখা🤍

হোম

নিজস্ব প্রতিবেদক

🤍স্মৃতির রঙ্গিন পর্দায় পেছন ফিরে দেখা🤍

প্রতিবেদকের নাম:

প্রকাশিত: রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
৫১ বার পড়া হয়েছে

(✏️মাসুদুল ইসলাম মাসুদ)

ঘড়িতে তখন বিকাল ২.৩০ টা,
১৫ অক্টোবর, ২০১৪ ইং।
সত্যিই এক মাহেন্দ্রক্ষণ।
বেশ কদিন ধরেই প্রচন্ড আগ্রহ, দুর্নিবার আকর্ষণ ও অদম্য স্পৃহা বোধ করছিলাম রাসুল(দঃ)প্রেমিক টগবগে তরুনদের সংগঠন…TEAM’র মিটিং তথা সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দের মিলনমেলায় উপস্থিত হয়ে নিজেকে ধন্য করার সুতীব্র বাসনায় ।
স্বপ্ন সত্যি হলো।
পার্থিব বাস্তবতার সকল ব্যস্ততাকে পেছনে ফেলে রেখে ছুটে চললাম হযরত শাহজালাল (র) ও হযরত শাহপরাণের (র) পূণ্যভূমি সিলেট হতে সুদূর ঢাকায় প্রিয় সংগঠন এর কেন্দ্রিয় কার্যালয়ের শহীদ হালিম মিলনায়তনে, যেখানে আগে থেকেই অপেক্ষমান ছিলেন ছাত্রসেনার সুযোগ্য কেন্দ্রিয় সভাপতি সহ কেন্দ্রিয় ও বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ। ইতোমধ্যে মোবাইল ফোনে একাধিকবার আমার খোঁজখবর নিতে নিতে আমার পূর্বেই সভাস্থলে হাজির হয়ে গেলেন সুন্নিয়ত রণাঙ্গনের আরেক দিকপাল, বীর মুজাহিদ, নব্বই দশকের তুখোড় ছাত্রনেতা এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী , যার তত্ত্ব ও তথ্যবহুল ক্ষুরধার ও শাণিত বক্তব্যে বাতিলরা এখনো হয়ে যায় নিস্তব্ধ , নির্বাক।
অতঃপর স্বল্পতম সময়ের ব্যবধানেই দেখা পেলাম ছাত্রসেনার সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি অত্যন্ত ভদ্র-নম্র, মার্জিত ও সৌন্দর্য্যমন্ডিত চরিত্রমাধুর্য্যের অধিকারী সদা হাস্যোজল ও সুমিষ্ট মূখাবয়ব খ্যাত তরুন নেতা এডভোকেট শাহীদুল আলম রিজভী, যার বলিষ্ট নেতৃত্বে ছাত্রসেনা অনেক ধাপ এগিয়ে যায় । অতঃপর যথারীতি উপস্থিত সহযোদ্ধাদেরকে উৎসাহিত ও উদ্দীপ্ত করার জন্য ধীর পদক্ষেপে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করলেন আমার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু সুন্নী রণাঙ্গনের অসম সাহসী যোদ্ধা, নব্বই দশকের সুন্নী আন্দোলনের অকুতোভয় বীর সেনানী, অসাধারন সাংগঠনিক ক্ষমতার অধিকারী, রাজনৈতিক কৌশল ও প্রজ্ঞাবান, রাজপথ কাঁপানো ঝাঁঝালো বক্তা দলের কেন্দ্রীয় নেতা জনাব এম, এ, সবুর, যার রয়েছে সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি অসাধারন ভালোবাসা ।
অপরদিকে হলভর্তি… TEAM এর নিষ্পাপ, নিষ্কলুষ স্বর্গীয় মায়ামমতায় ভরপুর, রসুল(দঃ) প্রেমে উদ্দীপ্ত উজ্জীবিত, সত্য ও ন্যায়ের পথে আপোষহীন, দৃঢচেতা, নির্ভীক হোসাইনী কাফেলার বীর মুজাহীদগন যাদের চোখেমুখে ফুটে উঠেছে সুন্নীয়ত প্রতিষ্ঠার ইস্পাতদৃঢ় অঙ্গীকার।
সত্যি বলতে কি , সেই অসাধারন প্রতিভাধর বীর সেনানীদের মাঝে নিজেকে নিতান্ত নগন্য মনে হয়েছ। আবার গৌরবান্বিত বোধ করেছি এই ভেবে যে, আমি তো অন্তত তাদেরই একজন সহযোদ্ধা , আমি তো সে সব সৌভাগ্যবান মদীনার পথের যাত্রীদের একজন খাদেম। এমন ভাগ্য ক’জনার হয় ? মিটিং এ বীর সেনানী ভাইদের মাঝে বসে তাদেরকে যতই দেখি ততই মুগ্ধ হতে থাকি, আমি মন্ত্রমুগ্ধের মতো তাদের জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য শুনতে থাকি , ভাইদের আলোচনা যতই শুনছিলাম আমার মধ্যে ঈমানী জোর ততই বেড়ে যাচ্ছিল, মনে হচ্ছিল আমি আবার সেই নব্বই দশকে ফিরে গেছি, বারবার চোখের সামনে ভেসে উঠছিল সেই উত্তাল লালদীঘি ময়দান, সেই মিছিলে মিছিলে মুখরিত ঝাঁঝালো রাজপথ। আমার ডানে-বামে, সামনে-পেছনে, উপবিষ্ট টগবগে তরুন গুলো সাধারন কোন তরুন নয়,
যেন সুন্নীয়ত রণাঙ্গনে “একেকটা আগুনের ফুলকি , যাদের চেহারায় জ্বলজ্বল করছে নবী(দঃ) প্রেমের আলোকচ্ছটা, যে আলোর বিচ্ছুরণ দিয়ে দুর করবে বাতুলতার সমস্ত নিকষ কালো অন্ধকার । তাদের অভিব্যক্তিতে ফুটে উঠছিল দৃঢ় প্রত্যয়, সুন্নীয়ত সমুদ্রের গর্জন, উথাল পাথাল ঢেউ, যে ঢেউ ছড়িয়ে পড়বে বিশ্বব্যাপী সবখানে, সুন্নিয়তের শ্লোগানে বিশ্ব কাপাঁবে, উড়াবে সত্যের বিজয় নিশান, পরিতৃপ্ত হবে বিংশ শতাব্দীর সুন্নী আন্দোলনের বীর সৈনিক শহীদ রফিক, হালিম, লিয়াকত ভাইয়ের বিদেহী আত্মা। তাদের সেই দৃঢ়চেতা মনোভাব ও মুখাবয়ব দর্শনে আমার ভেতরে বিদ্রোহী রণভেরী বাজতে থাকে………. “আগুনের ফুলকিরা
এসো জড়ো হই
দাবানল জ্বালাবার মন্ত্রে, বজ্রের আক্রোশে
আঘাত হানী
তাগুতের সব ষড়যন্ত্রে “।
আমি আমাদের online aetivist ভাইদের উদ্দেশ্যে মনে মনে আওড়াতে থাকি——- তোমরা এবং তোমরাই পারবে, আর দেরী নয়, সম্মুখ পানে এগিয়ে চল বীরদর্পে, আমরা কোথাও হারিয়ে যাইনি, আমরা সবাই আছি তোমাদের সাথে— । মহান আল্লাহতায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে, প্রিয় নবীজির(দঃ) কল্যানে আপনারা সবাই সুস্থ, সুন্দর ও ভালো থাকুন, আবার দেখা হবে কোন এক মাহেন্দ্রক্ষণে, কথা হবে রাজপথের ঝাঁঝালো মিছিলে ইনশাআল্লাহ—— ।

🎙️ মাসুদুল ইসলাম মাসুদ
ঢাকা।
২২.১২.২০২৩ ইং