(স্টাফ-রিপোর্টারঃএস এম এম আকাশ)
বাংলাদেশের বৃহত্তম বিল চলনবিল।তিনটি জেলা (পাবনা-নাটোর-সিরাজগঞ্জ)র চলনবিলের অংশ পড়েছে। চলনবিল অঞ্চলের বুক চিরে বয়ে গেছে অসংখ্য নদী-নালা খাল-বিল।পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার গুমানী নদী, বড়াল নদী ও চলনবিলের বুকে বয়ে যাওয়া দুটি নদী। চলনবিলের তলদেশে প্রতিবছরই অনেক পলি জমে। গুমানী নদী ও বড়াল নদীর তলদেশ সমতল করে কৃষকেরা আবাদ করে বোরো ধানের বীজতলা সহ অন্যান্য ধানের বীজতলা। জমি সমতল করে বোরো ধানের চাষও করে থাকে কৃষকেরা ।এ ছাড়াও চলনবিলের বিস্তীর্ণ বুক জুড়ে অনেকেই রবি ফসলের চাষ করছেন। চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলের গুমানী, বড়ালনদীসহ অন্যান্য নদী,নালা,জোলা, খাল অবৈধ দখল ও ভরাট করে চলেছেন অসাধু ব্যক্তিগন।
চলনবিল তথা চাটমোহর উপজেলার সকল নদী রক্ষায় প্রশাসনের যথাযথ তদারকি নজরদারি বাড়াতে হবে। অসাধু ব্যক্তিগনের অবৈধ নদী ভরাট করে নদীর জায়গা দখল,নদী সমতল করে বীজতলা তৈরী রোধ করতে হবে। সকল প্রকার অবৈধ কার্যক্রম রোধ করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরী বলে সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীদের প্রানের দাবী।
এ বিষয়ে কথা হয় গ্রিনপিস বাংলা পাবনা জেলা শাখার সভাপতি ও সাংবাদিক-গবেষক,পরিবেশ ও মানবাধিকার কর্মী- প্রফেসর বয়েন উদ্দিন ডিগ্রি অনার্স কলেজ,চাটমোহর পাবনার প্রভাষক সরদার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান আকাশ এর সাথে। তিনি বলেন মাটি খোর কিছু নেতা-কর্মীরা সকল সময়ে সকল দলেই থাকে। অসাধু ব্যক্তিরা অবৈধ ভাবে নদী থেকে মাটিও উত্তোলন করে থাকে। কৃষকেরা পরিবেশ বিপর্যয় বোঝেনা বলে তারা নদী সমতলের চেষ্টা করে, ক্ষেত্র বিশেষে নদীর ঢালু অংশ কেটে সমান করে বীজতলা তৈরী করে, আবার মাটি বিভিন্ন কাজের জন্য লুটও করে থাকে। পরিবেশ রক্ষায় নদী, রক্ষায় চলনবিল অঞ্চলে বিভিন্ন সংগঠন কাজ করছে। সকল সংগঠনের সমন্বিত ভাবে কাজ করতে হবে।প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে হবে তাহলে সকল প্রকার অসঙ্গতিপূর্ণ কাজ থেকে নদী রক্ষা পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা পালন করা সম্ভব।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট