(🥢এস এম মনিরুজ্জামান আকাশ)
বর্তমান সময় বড়ই রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে পার করছে তার গতিপথ! অরাজকতা অস্থিতিশীলতার মাঝে অতিবাহিত করছে এক শ্রেণির সাধারণ জনগন।
দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে একজন বিবেকবান ব্যক্তি কখনোই বলতে পারবেন না যে, দেশের মানুষ শান্তিতে আছে। দেশে চলমান ছাত্র জনতার বিশ্বাস যোগ্য আস্থাশীল সরকার ক্ষমতাসীন রয়েছেন গত আট আগষ্ট ২০২৪ থেকে অন্তবর্তীকালীন সরকার নামে।
সরকারের সদিচ্ছা থাকার পরেও কাজে কর্মে স্থবিরতা দেখা যাচ্ছে যে, প্রথম কয়েক মাস নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম হাতের নাগালে আনতেই ব্যর্থ হয়েছে।
যাক বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের বাজার সংশ্লিষ্ট কথা! আসি রাজনৈতিক অস্থিরতার বিষয়ে মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাধারা বিষয় নিয়ে। দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাস্তবতা হলো এই যে, যদি গোয়ালে গরু বাধা থাকে আর গৃহস্থ গোয়ালে না আসে তাহলে গরুর যে অবস্থা হয়!
সেইরুপ অবস্থা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তৈরী হয়েছে।
একটি দলের যেমন আধিপত্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে তা সত্যি সত্যিই উদ্বেগ জনক।
অপর পক্ষে অপরাপর রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকদের আস্ফালনে সাধারণ জনগন ভীত সন্তোস্ত হয়ে পড়ছে।
বিগত শেখ হাসিনার সরকার দেশের বিবাদমান পরিবেশ পরিস্থিতি থেকে উত্তরনের জন্য গত পাঁচ আগষ্ট সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর সহযোগিতায় প্রতিবেশী রাষ্ট্র ইন্ডিয়ায় অবস্থানের জন্য গমন করেন।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসীন ছিলো পনেরো বছর আট মাস। আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে সহযোগিতা করেছে কিছু সাধারণ কর্মী সমর্থক ও সাধারণ জনগন। কিন্তু উনত্রিশে ডিসেম্বর ২০০৮ এর নির্বাচন ছিলো সর্বকালের গ্রহন যোগ্য নির্বাচন, আর ঐ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নব্বই শতাংশ আসন পেয়ে বিজয়ী হয়। পরবর্তী কালে আওয়ামীলীগের অধীনে তিনটি সংসদ নির্বাচন নিয়ে কথা রয়েছে। আওয়ামী লীগের আন্তরিকতার ঘাটতি ছিলো এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই।
যাই হোক সাধারণ জনগন যারা পরিবেশ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, অবলোকন করে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে তাদের কে দোষারোপ করা ও তাদের উপর মানসিক চাপ প্রয়োগ ও মানসিক চাপ অব্যাহত রাখার মধ্যে কি বীরত্ব আছে বুঝিনা!
আওয়ামীলীগের কৌশলগত কারণে সাধারণ জনগন আওয়ামী লীগের সাথে থেকেছে বরং বহুলাংশে অনেক এলাকায় আওয়ামী লীগের লোক জনই ভোট কেন্দ্রে যায়নি।
এখন আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব সাধারণ কর্মী সমর্থকদের হাতে। সাধারন কর্মীরা ছাড়া নেতৃবৃন্দের আত্মগোপনে থাকায় অপর রাজনৈতিক দলগুলোর চাপ রয়েছে সাধারণ মানুষের উপর।গ্রাম পর্যায়ে হাজার হাজার সাধারণ জনগন যারা আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে, সমর্থন করেছে তাদের উপর মানসিক চাপ প্রয়োগ করে টাকা পয়সা চাওয়া থেকে অনেক রকম প্রেসার প্রয়োগ করা হচ্ছে যা কোন মতেই কাম্য নয়।
সাধারণ জনগন শান্তিপ্রিয় বলে তারা কথা কম বলে কাজ বেশি করে। একবার যদি সাধারণ জনগন ভয়ে ভীত হয় তাহলে ভালো! কারন ভয় পেলে মানুষ ক্ষয় বা শেষ হয়ে যায়। আর যদি ভয় ভেঙ্গে যায় তাহলে সে সামনে অগ্রসর হতে পিছপা হয়না। তখন সেই সাধারণ জনগন বিস্ময়ের সাথে প্রলয় ঘটাতেও দ্বিধা বোধ করেনা।
তাই রাজনৈতিক দলের কর্মী সমর্থক নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ সাধারণ জনগনের সাথে সাধারণ আচরণই করুন!
তাতে দেশ ও দশের সকলেরই মঙ্গল।
আবার এখন আসি অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে! আপনারা সার্বিক সংস্কারকাজ শেষ করতে পারবেন না!
কারণ, নির্বাচন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত করা ও ভোটের রাজনীতি ফিরিয়ে আনা এবং জনগনকে পুরোপুরি ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত করাই আপনাদের প্রধান কাজ।
বিএনপির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বলতে চাই যে, ভোটের তারিখ ঘোষণা করে একটা সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা আপনাদের প্রধানতম চ্যালেঞ্জ ও কাজ।
সংষ্কার কাজ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সংষ্কার নির্বাচিত সরকার এসে করবেন।
অন্তবর্তীকালীন সরকার হিসেবে আপনারা একটি অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা বুঝে দিন। তাহলে আপনাদের উদ্দেশ্য ও কাজের প্রকৃতি প্রশ্নবিদ্ধ হবেনা।
পরিশেষে, দেশের মানুষ শান্তিতে উদ্বেগ বিহীন নিঃসংকোচে পথ চলুক, কাজ করুক স্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করুক এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি!
(তারিখঃ পহেলা জানুয়ারী ২০২৫ ঈশায়ী)
✒️🎤 এস এম মনিরুজ্জামান আকাশ
কবি-কলামিস্ট, সাংবাদিক-গবেষক,গীতিকার,
পরিবেশ ও মানবাধিকার কর্মী,
সভাপতি-গ্রিনপিস বাংল, পাবনা জেলা শাখা,পাবনা।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট