অভয়নগরে পাওনা টাকা চাওয়ায় নারী পার্টনার কর্তৃক ব্যবসায়ীকে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি।
অভয়নগরে ব্যবসায়িক পাওনা টাকা চাওয়ায় মোঃ খলিলুর রহমান খান (৪৩) কে তার পার্টনার নিশাদ আক্তার (৩৫) হত্যার হুমকি দিয়েছেন। এ ব্যাপারে মোঃ খলিলুর রহমান খান ফুলতলা থানায় জিডি (নং-১৪৬২) এন্ট্রি করেন। এরই ভিত্তিতে খুলনা আদালতে শুনানী আজ (রোববার)। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, যশোর অভয়নগরের গুয়াখোলা গ্রামের মৃত- শহিদুল ইসলামের কনিষ্ঠ মেয়ে নিশাদ আক্তার এর সাথে ফুলতলার দামোদর গ্রামের মোঃ আজিজুর রহমান খানের পুত্র মোঃ খলিলুর রহমান খান (৪৩) ২৪ আগষ্ট ২০২০ সাল থেকে অংশীদারি ব্যবসা শুরু করেন। তারা নিউ হিমালয় সতেজ ব্রান্ডের আর এন ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান (লাইসেন্স নং- কে-৩১৩২) অংশীদারি রেজিস্ট্রি চুক্তিনামা সম্পাদন করেন। সে অনুযায়ী নওয়াপাড়া বাজারে তাঁদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা এবং ইসলামী ব্যাংক নওয়াপাড়া শাখায় হিমালয় ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি হিসাব (নং-৩৩৬৭১৫) খোলা হয়। ব্যাংক হিসাব পরিচালনার জন্য নিশাদ আক্তার তার বড় বোন নার্গীস আক্তারের জাতীয় পরিচয়পত্র (নং-৩২৯৪৩৭১৩৯২) ব্যবহার করেন। তার জন্ম তারিখ ১৫ নভেম্বর ১৯৮২। পরিচয় সূত্র হিসেবে পিতা মোঃ শহিদুল ইসলাম, মাতা মোছাঃ রাবেয়া বেগম, স্বামী- শাহ মোঃ সোহেল রানা, স্থায়ী ঠিকানা- নওয়াপাড়া হাইওয়ে সড়ক এবং স্থায়ী ঠিকানা গ্রাম-গুয়াখোলা, অভয়নগর, যশোর উল্লেখ করা হয়। অপরদিকে নিশাদ আক্তার নিজ নামে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড নওয়াপাড়া শাখায় নিজ নামে একাউন্ট (নং-২৩৯) খোলেন। সেখানে তার জন্ম সনদ (নং-১৯৮৭৪১২৮৩০৬০৯২৩৩৪) এবং তার জন্ম সনদে তারিখ ১৪ জানুয়ারি ১৯৮৭ উল্লেখ আছে। প্রয়োজনীয় সনদপত্রে কোথাও কোথাও নার্গীস আক্তারের নাম ব্যবহার করা হলেও সকল ক্ষেত্রে নিশাদ আক্তার তার নিজের ছবি ব্যবহার করেন। এ ব্যাপারে নিশাদ আক্তার তার পার্টনার খলিলুর রহমান খানকে মেরে ফেলার হুমকীর বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, লেনদেনের বিষয়টি আলাপ আলোচনার মাধ্যমে মিমাংশা করা হবে। নিশাদ আক্তার তার ডাক নাম হলেও প্রকৃত নাম নার্গীস আক্তার এবং তার বড় বোনের নাম নার্গীস আক্তার নাসরিন। তবে ব্যাংক এ হিসাব খোলার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ছবি ও জন্ম তারিখের ভিন্নতার বিষয়ে তিনি কোন সদুত্তোর দিতে পারেননি। এদিকে গত ২৯ আগষ্ট মোঃ খলিলুর রহমান রুমেল ফুলতলা থানায় দায়েরকৃত জিডিতে (নং-১৪৬২) জানা যায়, তার ব্যবসায়িক পাওনা ১৮ লাখ টাকা চাইলে নিশাদ আক্তার তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা ফুলতলা থানার এসআই সুপ্রভাত কুমার বিশ্বাস বলেন, জিডির তদন্তের জন্য খুলনার আদালতে আজ (রোববার) শুনানি। আদালতের নির্দেশনা পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট