স্টাফ রিপোর্টারঃ
মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক
গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ক্যাপ্টেন এম মুনসুর আলীর জন্মদিন ষোলই জানুয়ারী ১৯১৯ ঈশায়ী সালে তৎকালীন পাবনা জেলার অন্তর্গত সিরাজগঞ্জ মহকুমায় কাজিপুর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নপর কুড়িপাড়া গ্রামে।তার পিতার নান ছিলো হরফ আলী সরকার। তিনি কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ, আলীগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি অর্থনীতি ও আইন বিভাগে পড়ালেখা শেষ করেন। তিনি একাধারে একজন রাজনীতি বীদ ও আইনজীবী শিক্ষক ও সমাজ সংস্কারক এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম একজন সফল সংগঠক। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অত্যন্ত আস্থাভাজন ও ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন।
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং তিনি বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার তথা প্রথম সরকার মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রীও ছিলেন। তিনি শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতা পরবর্তী বাকশাল প্রতিষ্ঠার পর তিনি বাংলাদেশের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।তিনি ২৫ জানুয়ারী ১৯৭৫ থেকে ১৫ আগষ্ট ১৯৭৫ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন ও গ্রেপ্তার হন। ক্যাপ্টেন এম মুনসুর আলী ১৯৪৮ সালে তিনি পাকিস্তান ন্যাশনাল গার্ড (পিএনজি) ক্যাপ্টেন পদে অধিষ্ঠিত হয়ে যশোর সেনানিবাসে প্রশিক্ষণ নেন। তখন থেকেই তিনি ‘ক্যাপ্টেন মনসুর’ নামেই অধিক পরিচিত ছিলেন। যদিও তিনি ব্যক্তি জীবনে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ছিলেন না। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলায় আম বাগানে গঠিত হয় মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার। তিনি সে সময় বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ৩ রা নভেম্বর ১৯৭৫ জেলহত্যায় নিহত জাতীয় চার নেতার মধ্যে তিনিও শহীদ হন। তিনি ছয় সন্তানের জনক (পাঁচ পুত্র ও এক কন্যা), জৈষ্ঠ পুত্র ডঃ মোহাম্মদ সেলিম এমপি ছিলেন এবং মোহাম্মদ নাসিম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা এবং ১৯৯৬-২০০১ সময়কালে বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০১৩ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।
ক্যাপ্টেন এম মুনসুর আলী পাবনা শহীদ আমিন উদ্দিন আইন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রতিষ্ঠাতা-অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৫১ সালে পাবনা জজ কোর্টে আইনজীবী হিসেবে আইন ব্যবসা পরিচালনা শুরু করেন।
পাবনা ও সিরাজগঞ্জের উন্নয়নে বহু অবদান রেখেছেন ক্যাপ্টেন এম মুনসুর আলী। তিনি ১৯৭৫ সালের ৩ রা নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের মত পবিত্র স্থানে বিপথগামী সেনা কর্মকর্তাদের হাতে শাহাদাত বরণ করেন।তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি!
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট