(🥢এস এম মনিরুজ্জামান আকাশ)
পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার পৌর সদরের চাটমোহর সরকারি কলেজ গেটের সিএনজি স্ট্যান্ডে অনিয়ম ভীতিকর পরিবেশ ও রাহাজানি নিত্য নৈম্যাত্তিক ঘটনা সম্পর্কে দু’একটি কথা বলবো! ঘটনার দৃশ্যপট গত বিশ জানুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখের পরিপ্রেক্ষিতে আজকের লেখা। বিগত দিনেও অনিয়ম ভীতিকর পরিবেশ চাটমোহর সিএনজি স্ট্যান্ডে ছিলো এখনও আছে! সরকার পতিত হওয়ার ছয় মাস পার হলেও এখনও থামেনি পুর্বের সেই অবস্থা ! কি আশ্চর্য বিষয়। সরকার পতনে যাদের ভূমিকা ছিলো অগ্রনী! সেই সকল ব্যক্তি ও তাদের পরিবারই যেন এখন জিম্মি। আমরা কি তাহলে মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়ে আবারও ভুল করে ফেললাম? এমন প্রশ্ন রেখে চলেছেন অনেক ভুক্তভোগী ব্যক্তি সাধারণ। সাংবাদিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব সত্য ও সঠিক কথা গুলো জনসমক্ষে তুলে ধরা।
একজন ভুক্তভোগী মহিলারনভাষ্য অনুযায়ী,আমার ১৪ মাসের বাচ্চা পাতলা পায়খানা, জ্বর এবং বমির কারনে অবস্থা খুব খারাপ ও নাজুক পর্যায়ে চলে যায়। চাটমোহর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বলা হয় পাবনায় নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমরা দেরি না করে কিমিয়া ডায়গনস্টিক এ ফোন দেই ড. নিতিশ স্যারের সিরিয়াল এর জন্য। জানি সিরিয়াল পাওয়া যাবে না। তারপরেও ওখানকার রিসিপশন থেকে জানায় “স্যার নরমালি ৫ টায় বসে। তবে আজ একটু দ্রুত আসবে৷ আপনি যদি ৩ টায় আসতে পারেন তাহলে দেখাতে পারবেন”।
আমার মা ও স্বামী সন্তানকে সাথে সাথে ভ্যানে করে নিয়ে চাটমোহর সরকারি কলেজ গেটে পৌছাই সিএনজি স্ট্যান্ডে। গিয়ে দেখলাম সিএনজি শুধু ২ টা আছে এবং ২ সিএনজিতেই ৪ জন করে যাত্রী বসে আছে। আমি উনাদের বললাম আমরা রিজার্ভ যাবো। মেডিক্যাল কেস, আমার বাচ্চা প্রচুর অসুস্থ, আমাকে ইমার্জেন্সি যেতে হবে। কোন একটা গাড়ি ফাকা করা যায় কিনা বা একটা ফাকা গাড়ি দেয়া যায় কিনা ম্যানেজ করে?! তখন সিএনজি স্ট্যান্ডের মাস্টার জাহাংগির আলম জানান, পাবনা থেকে গাড়ি আসার পর গাড়ী পাওয়া যাবে! তাছাড়া সম্ভব নয়। আমি বললাম আমার মেয়ের অবস্থা খুব খারাপ হচ্ছে ক্রমান্বয়ে, একটু দেখেন না ভাইয়া!
ইভেন ওখানকার যাত্রীদের সাথে আমিই কথা বলতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু আমাকে বাঁধা দেয়া হচ্ছিল এমনকি বাঁধা দেওয়া হলো। এমন সময় একটা রানিং গাড়ি (সিরিয়ালের না) পাবনার দিকেই যাচ্ছিল। তখন অলরেডি সাড়ে বারো বা একটা টার মত বাজে। তারা ম্যানেজ করতে পারতেছে না দেখে আমার আম্মা ওই গাড়ি থামায়। তখন ওখানকার মাস্টার আমার আম্মাকে অশালীন, অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলে এবং বলে ওই সিএনজির চাবি কেড়ে নিতে এবং সিএনজি ড্রাইভারকে হুমকি ধামকি দিতে থাকে। আমি অনুরোধ করে বলি ভাই আপনারা মেনেজ করতে পারতেছেন না। আমার মেয়ের দিকে একটু তাকান প্লিজ।আমাদের একটু যেতে দেন। আমাকে এক গ্রুপ বাধাঁ দিচ্ছে আর আমার আম্মাকে আরেকটা গ্রুপ ধরেছে। ওখানেই আমার বাসা হওয়ার কারনে আম্মু বলতেছে তোদের সাহস কি করে হয় বা তোদের কি বিবেক বলে কিছু নাই? ক্রমান্বয়ে অবস্থার খারাপ হতে থাকে। আমার মেয়ে তখন গেঞ্জামে কান্না শুরু করছে। তাদের তাতে কোন ভ্রুক্ষেপ ছিল না। পরে সিএনজি ড্রাইভারের ইশারায় আমরা একটু সামনে গিয়ে দাড়াই। এবং বাস্ট্যান্ডেও তারা লোক পাঠায়।
মহিলার ভাষ্য মতে, আমরা চাটমোহর এসে পৌছাই আনুমানিক ৬.০০-৬.৩০ এর মাঝে। আমি কলেজ গেটে নেমে পড়ি এবং আমার আম্মা ও আমি বাবুকে নিয়ে বাসায় যাই। আমার স্বামী কলেজ গেটে নামে সেলুনে চুল দাড়ি কামানোর জন্য। নামার সময়ই ওখানকার মাস্টারের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি আমাদের দিকে পড়ে। আমার স্বামীকে ডেকে নেয়। বলে আপনি আমাদের ইগ্নোর করে অন্য গাড়িতে গেলেন কেন?
আমার স্বামীকে আরো বলেন যে, আমি জসিম উদ্দিন! আমাকে কেউ কখনও অমান্য করে নাই। তখন আমার স্বামী তাকে বলেন, ভাই আমার মেয়ে অসুস্থ।
আপনার চোখের সামনে মেয়েটার চোখ ভিতরে চলে যাচ্ছিল। আপনার কি বিবেক বোধ নাই। তাছাড়াও আপনি আমার শ্বাশুড়ী আম্মাকে অপদস্থ করছেন। সম্পর্কে তো উনি আপনার আত্নীয়ই হয়ে যাবে। আমাদের বাসা তো এখানেই। তখন উনি আমাকে বলে এখানে বাসা তাহলে তুই আমারে চিনিস না? আমি জসিম উদ্দিন!
তখন আমার স্বামী রাগ কন্ট্রোল করতে পারেনি।
তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন পৌরসভার মাঝে আপনাদের এই ব্যবসার বৈধতা কি?
তখন উনার ইশারায় পিছন থেকে কেও একজন আমার স্বামীর হাত ধরে ফেলে। এবং উনি বারংবার আমার স্বামীর চোখে-মুখে ঘুষি মারে। মনে হচ্ছিল উনি যেন সব প্রিপারেশন নিয়ে রেডি ছিলেন।
আমার স্বামী তখনই চলে আসে বাসায় যদি আরো বেশি বিপদ আসে বা আটকাতে পারে।
মহিলার কথা গুলো আবেগঘন ছিলো! আক্ষেপ আক্রোশপ্রসূত মনোকষ্ট নিয়ে কথা গুলো শুনে খুবই তাড়িত হলাম বলে লিখতে বাধ্য হলাম।
মহিলার বক্তব্য সাংবাদিকরা এই সকল ঘটনা বড় সড় করে তুলে ধরবে! জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে মানুষকে বিবেক বোধে জাগ্রত করতে।
জনসচেতনতা বোধ সম্পন্ন ব্যক্তি সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। দুর্নীতি গ্রস্থ পরিবেশ আগ্রাসী মনোভাবাপন্ন ব্যক্তিদের বিকৃত মানসিকতা থেকে সমাজ তথা দেশ তথা রাষ্ট্র কে মুক্ত করতে হবে।
আমি ভুক্তভূগী মহিলা ও মহিলার মা ও স্বামীর সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।
তীব্র নিন্দা ঘৃনা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি!
একজন মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক হিসেবে সঠিক ভাবে ঘটনাটি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ করছি…(০১-০২-২০২৫)
🎤✒️এস এম মনিরুজ্জামান আকাশ
সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী,
সভাপতি-
গ্রিন পিস বাংলা, পাবনা জেলা শাখা,পাবনা।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট