মোঃ মকবুল হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার :
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় ধাপ। মাওলানা জুবায়ের অনুসারীদের আয়োজিত এই ধর্মীয় মহাসম্মেলনে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ফজরের নামাজের পর থেকেই শুরু হয়েছে তিনদিনব্যাপী ইজতেমার দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম।
ইজতেমা ময়দানে সারাদেশের অন্তত ২২টি জেলা থেকে আসা ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা তাঁবুতে আশ্রয় নিয়ে ইবাদত-বন্দেগিতে সময় কাটাচ্ছেন। এখানে তারা দ্বীনের আলোচনায় মগ্ন থাকছেন, খিত্তায় খিত্তায় চলছে জিকির-আসকার, দাওয়াতি কার্যক্রম ও আত্মশুদ্ধির অনুশীলন। বিদেশ থেকেও বহু মুসল্লি এসেছেন, যারা ইসলামের দাওয়াতি চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সময় কাটাচ্ছেন।
ইজতেমায় অংশ নেওয়া মুসল্লিরা বলছেন, এ ধর্মীয় সম্মেলনে এসে তাদের ঈমান আরও মজবুত হচ্ছে। আল্লাহর একত্ববাদ ও মুহাম্মদ (স.) এর নবুওয়তের প্রতি বিশ্বাস আরও দৃঢ় হচ্ছে। এখানে পাওয়া শিক্ষা ও আত্মশুদ্ধির অভিজ্ঞতা জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে বলে তারা আশা করছেন।
আগামীকাল বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এই পর্বের আয়োজন। এরপর ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব, যেখানে অংশ নেবেন মাওলানা সাদ অনুসারীরা।
ইজতেমা ময়দানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সর্বোচ্চ পর্যায়ে রাখা হয়েছে। পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ার এবং ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছেন, যাতে মুসল্লিরা নির্বিঘ্নে ইবাদত ও অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারেন।
এর আগে, রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) গভীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় বিশ্ব ইজতেমার প্রথম ধাপ। সেই মোনাজাতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশের মুসল্লিরা অংশ নেন। লাখো মানুষের কণ্ঠে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনার ধ্বনি মুখরিত হয়ে ওঠে তুরাগ তীর।
বিশ্ব ইজতেমা শুধু একটি ধর্মীয় সমাবেশ নয়, এটি মুসলমানদের আত্মশুদ্ধির পথচলার অন্যতম প্ল্যাটফর্ম। এখানে পাওয়া শিক্ষা মুসল্লিদের জীবনে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে, যা তাদের আত্মিক ও নৈতিক উন্নয়নে সহায়ক হয়।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট