ঝড়বৃষ্টি কত দিন থাকবে, জানালো আবহাওয়া অধিদফতরসাগরে এখনো নিম্নচাপ থাকায় আরো দুই দিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে আবহাওয়া অধিদফতরের উপপরিচালক ছানাউল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।তিনি জানান, নিম্নচাপের প্রভাবে বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। বৈরী আবহাওয়ায় এখনো উত্তাল রয়েছে সাগর। ফলে বহাল রয়েছে তিন নম্বর সতর্কতাসংকেত।আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া ও বিজলি চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।রাজধানীতে সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) ভোর রাত থেকে মঙ্গলবারও (১৩ সেপ্টেম্বর) বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। টানা দুইদিন থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কর্মজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ।এছাড়া দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ফের ভাঙছে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের বালিয়াড়ি। ঝুঁকির মুখে অনেক স্থাপনা। বৈরী আবহাওয়া বা জোয়ার এলেই পানির উচ্চতা বেড়ে যায় ২ থেকে ৩ ফুট। মুহূর্তের মধ্যে পাল্টে যায় ঢেউয়ের চরিত্র। জিও ব্যাগ রক্ষা করতে পারছে না সাগরের তাণ্ডব। এতে পর্যটকরাও পড়েছেন বিপাকে। সৌন্দর্য হারাচ্ছে সৈকত এলাকা।এদিকে সাতক্ষীরার উপকূলীয় উপজেলা আশাশুনি ও শ্যামনগরের বেশ কয়েকটি নদনদীর পানি বেড়েছে। এর মধ্যে আবার ৮০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের ৩৫টি পয়েন্টই ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। ঝালকাঠিতেও জোয়ারের পানিতে তিন দিন ধরে তলিয়ে আছে ৩০টি গ্রাম। এতে পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন শত শত পরিবার।পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, জোয়ারে সুগন্ধা, বিশখালি ও বাসন্ডাসহ ১১টি নদনদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে, বরগুনায় নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে শত শত মাছ ধরার ট্রলার। এতে প্রায় মাছশূন্য হয়ে পড়েছে পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণকেন্দ্র।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট