মোঃ নাঈম কালিয়া, নড়াইল
নড়াইলের কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসক ও জনবল সংকটে দীর্ঘদিন যাবৎ কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হওয়ায় রোগীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
সংশিলিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, ১৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষের বৃহদাংশ ৫০ শয্যার এই হাসপাতালে সেবা প্রত্যাশা করেন। তবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য কর্মচারীর অভাবে হাসপাতাল কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।
শুধু তাই নয়,বিগত কয়েকমাস যাবত ঔষধের নিয়মিত সরবারহ না থাকায় রোগীরা পাচ্ছেন না তাদের পর্যাপ্ত ঔষধ সেবা। ফলে বাড়তি অর্থ ব্যায় করে বাইরে থেকে ঔষধ কিনে নিজেদের চিকিৎসা চালাতে হচ্ছে রোগীদের। এতে বিপাকে পড়ছেন মধ্যবিত্ত ও নিম্নোবিত্ত মানুষেরা।
জনবল সংকটের কারণে একসময় যেখানে মাসে চার দিন সিজার ও অপারেশন হতো, এখন তা অর্ধেকে নেমে এসেছে। এক্স-রে মেশিন অকেজো থাকায় রোগীদের বেসরকারি ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে, যা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য আর্থিক চাপ সৃষ্টি করছে।
কালিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও (ভারপ্রাপ্ত) ডা. পার্থ প্রতীম বিশ্বাস জানান, হাসপাতালে প্রতিদিন ৪৫০ জনের মতো রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন। কিন্তু পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, জনবল সংকটের কারণে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বাড়তি সময় দিয়ে চাপের মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে। তবুও রোগীদের চিকিৎসা দিতে তারা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান।
স্থানীয়রা দ্রুত জনবল নিয়োগ ও চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নের দাবি জানিয়েছেন, যাতে সাধারণ মানুষ সরকারি চিকিৎসা সেবার পূর্ণ সুবিধা পেতে পারেন।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট