(এস এম হাবিবুর রহমান,চাটমোহর, পাবনা থেকে)
চাটমোহর ব্যবসায়ী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির ত্রিবার্ষিক নির্বাচন আসন্ন।সর্বশেষ কমিটির মেয়াদ গত ১ জানুয়ারি,২০২৫ তারিখে শেষ হয়।এবং গত ১০ জানুয়ারি সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।ঐ দিনই নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। দায়িত্ব প্রদান করেন ২৫ জানুয়ারি ২০২৫। বর্তমানে চাটমোহর ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ,অনুযোগ, আবেদন, নিবেদন এবং আলোচনার কোন প্রকার সুরাহা না করেই নির্বাচন পরিচালনা কমিটি নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। সমিতির সর্বশেষ গঠনতন্ত্র যা রেজিস্টার অব ট্রেড ইউনিয়ন,/ শ্রম দপ্তর কর্তৃক গত ২০/০৪/২০১৪ তারিখে অনুমোদিত কপিতে যে সব ধারা, উপাাধারা এবং অনুচ্ছেদ আছে, তা অনেক ক্ষেত্রে মানা হয় নাই। যেমন- মেয়াদের অতিরিক্ত সময়ে ক্ষমতায় থাকা।গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ৩ সদস্য বিশিষ্ট উপদে্ষ্টা কমিটি গঠন করা হয় নাই। নিরীক্ষা কমিটির সদস্যকেই নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে।এখানে গঠনতন্ত্রের কয়েকটি ধারা বা অনুচ্ছেদের কিছু কিছু অংশ আলোচনা করার চেষ্টা করছি। গঠনতন্ত্রের ১১ নং অনুচ্ছেদের ৪র্থ লাইনের শেষ থেকে ” সর্বোচ্চ ৩ ( তিন) বৎসরের জন্য তাহাদের কার্যকাল স্থায়ী হইবে।কার্যকাল বলিতে প্রকৃত দায়িত্ব পালনের সময়কে বুঝাইবে। নির্বাহী কমিটির কার্যকাল শেষ হওয়ার নিদষ্ট সময় পূর্বে যদি কোন কারনে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা না হয় বা নিদিষ্টি সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হয়, তাহা হইলে ৩ ( তিন) বৎসরের কার্যকাল শেষে বর্তমান নির্বাহী কমিটি আর দায়িত্ব পালন করিতে পারিবে না। এই অবস্থায় নির্বাহী কমিটির দায়িত্ব পালন করিবে ১৩ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী গঠিত উপদেষ্টা কমিটি। উপদেষ্টা কমিটির উপর দায়িত্ব যাওয়ার পর তাহারা পরর্বতী সর্বোচ্চ ৪৫ ( পঁয়তাল্লিশ) দিনের মধ্যে ২৩ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাহী কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন করিবেন।”
এখানে উল্লেখ্য যে, বিগত কার্যনির্বাহী কমিটি তাদের মেয়াদ তিন বছর অতিক্রম করে ৪৫ দিন পার করে নির্বাচন কমিটি গঠন করেন। নির্বাচন
পরিচালনা কমিটি গঠনের পর আরো ১০ দিন পরে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির নিকট দায়িত্ব প্রদান করেন। সর্বশেষ কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনতন্ত্রের ১৩ ( গ) নং অনুচ্ছেদ অনুসারে কোন প্রকার উপদেষ্টা কমিটি গঠন করেন নাই। যা যথাসময়ে সাধারণ সভা বা বিশেষ সাধারণ সভা ডেকে অনুমোদন নেওয়া গঠনতন্ত্রের বাধ্যবাদকতা ছিল। তা না করে অর্থাৎ মেয়াদ পূর্তির ৪৫ দিন পূর্বে করার বিধান ছিল।তারা মেয়াদ শেষে আরো ৪৫ দিন ক্ষমতা ধরে রেখেছিল।
এবার গঠনতন্ত্রের ২৫ নং অনুচ্ছেদ বলা হয়েছে-
” কোন নির্বাচিত নির্বাহী কমিটির কার্যকালের মেয়াদ ৩( তিন) বৎসরের বেশী হইবে না। নির্বাহী
কমিটির মেয়াদ শেষ হইবার ৩০( ত্রিশ) দিন পূর্বেই গোপন ব্যালটের মাধ্যমে সাধারণ সদস্যদের ভোটে সমিতির নির্বাহী কমিটির কর্মকর্তাগণ নির্বাচিত হইবেন। ইত্যাদি—।”
গঠনতন্ত্রের ২৬ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে-
” কার্যনির্বাহী কমিটির স্থিতিকাল: সাধারণ সভায়
গৃহীত সিদ্ধান্ত মেতাবেক নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন
কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত না হওয়া পর্যন্ত আগের কমিটিই কার্যক্রম পরিচালনা করিবে। তবে কোন
ক্রমেই কার্যনির্বাহী কমিটির কার্যকাল ৩ বৎসরের
বেশী স্থায়ী হইবে না।”
এখানে আলোচ্য বিষয় হলো ” তবে কোন
ক্রমেই কার্যনির্বাহী কমিটির কার্যকাল ৩ বৎসরের
বেশী স্থায়ী হইবে না।” পরিস্কার করা হয়েছে কোন ভাবে বা কোন কারন দেখিয়ে ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।যা বিগত কমিটি সম্পূর্ণ গঠনতন্ত্র পরিপন্থীভাবে ক্ষমতায় ছিলেন। সর্বশেষ
কমিটি মোটা অংকের টাকা ব্যয়ে কাজ করলেও সমিতির সাধারণ সদস্যদের মতামত গ্রহণ করেন নাই।বা সাধারণ সভা বা বিশেষ সাধারণ সভা মেয়াদ কালে ডাকেন নাই। যা প্রতিবছরে একটি প্রয়োজনে বিশেষ সাধারণ সভা করার গঠনতন্ত্রে বাধ্যবাদকতা রয়েছে। মূলত: বিগত কমিটি গঠনতন্ত্র বাইপাস করে সমিতির কাজ করেছেন। যা সাধারণ সদস্যদের নিকট গ্রহণযোগ্য নয়।আগামীতে গঠনতন্ত্রের উপর এবং সমসাময়িক কিছু বিষয় নিয়ে লেখার ইচ্ছা আছে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট