মোঃ মকবুল হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার :
আজ (১৯ ফেব্রুয়ারি) বুধবার দুপুরে রংপুর প্রেসক্লাব চত্বরে আলু চাষিদের বাঁচানোর দাবিতে
কোল্ড স্টোরেজের ভাড়া কমানোর দাবিতে রংপুরে রাস্তায় আলু ফেলে বিক্ষোভ করেছে আলু চাষিরা। এসময় ৬ দফা দাবি পূরণের আহ্বান জানান তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আলু আমাদের প্রধান সবজি এবং অর্থকরী ফসল। বিশ্বব্যাপী আলুর চাহিদা ব্যাপক। উত্তরবঙ্গ বিশেষ করে রংপুরের জমি এবং আবহাওয়া আলু চাষের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী। ফলে এই অঞ্চলের কৃষকরা প্রচুর আলু উৎপাদন করে। কিন্তু আলুর বাম্পার ফলন হলেও কৃষক লাভের মুখ দেখতে পারে না। আলু যেহেতু পচনশীল সবজি, তাই কৃষক বেশিদিন আলু ঘরে রাখতে পারে না। দ্রুত তাকে আলু বিক্রি করতে হয়। এই সময়ে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট আলুর বাজারে ধস নামিয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কৃষক কোল্ডষ্টোরে আলু রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু আলুর সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন কোম্পানি স্টোর মালিকদের সঙ্গে যোগসাজশ করে স্টোরের বেশিরভাগ জায়গা আগেই বুকিং করে রাখে। ফলে কৃষকরা কোল্ডষ্টোরেও জায়গা পায় না। এভাবে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সাথে কোল্ডষ্টোর মালিকদের সিন্ডিকেট যুক্ত হয়ে কৃষককে পানির দরে আলু বিক্রি করতে বাধ্য করে।
মানববন্ধন থেকে ৬ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো:
১.প্রতি কেজি আলুর ভাড়া ৮ টাকা বাতিল করে ১.৫০ টাকা নির্ধারণ
২.অগ্রিম বুকিংয়ের নামে বস্তা প্রতি ১০০ টাকা আদায় বন্ধ করণ।
৩.অবিলম্বে সরকারি উদ্যোগে প্রতি উপজেলায় বিশেষায়িত বীজ হিমাগার নির্মাণ করা।
৪.সব হিমাগারে প্রকৃত কৃষকের জন্য ৬০ ভাগ জায়গা বরাদ্দ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
৫.লাভজনক দামে আলু বিক্রি করতে না পারা কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৬.আলু চাষিদের আলু সরকারি উদ্যোগে বিদেশে রফতানির ব্যবস্থা করতে হবে।
রংপুর প্রেসক্লাব চত্বরে আলু চাষিদের বাঁচানোর দাবিতে মানববন্ধন শেষে রাস্তায় আলু ফেলে এই বিক্ষোভ করে তারা। এর আগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে আলুচাষি সংগ্রাম কমিটি রংপুর জেলা আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন বাবলুর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেতমজুর ও কৃষক সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আহসানুল আরেফিন তিতু, আলুচাষি জমশেদ আলী, রেজওয়ান শাহ,তছলিম উদ্দিন, রানা মিয়া, লক্ষীকান্ত রায়, মইনুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন সহ অনেকেই।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট