যবিপ্রবির বিতর্কিত জনসংযোগ কর্মকর্তাকে স্থায়ী পিএস বানানোর চেষ্টা চলছে।যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বিবিদ্যালয়ের মতো স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠে ভিসির পিএস হিসেবে বিতর্কিত জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুর রশীদকে নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এঘটনায় বিশ্বিবিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পর পর দু’দফায় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি বিকৃতির অভিযোগে অভিযুক্ত বিতর্কিত জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুর রশীদকে এবার ভিসির স্থায়ী পিএস বানানোর অপচেষ্টা চলছে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিশ্বিবিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিতব্য পিএস পদের পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য ইতিমধ্যে তাকে এডমিট কার্ড প্রদান করা হয়েছে। একাধিক অপকর্মে অভিযুক্ত আব্দুর রশীদকে ভিসির পিএস বানানোর ঘটনা ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ায় সর্বত্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে বিশ্বিবিদ্যালয়ের ডেস্ক ক্যালেন্ডারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি দু’দফায় বিকৃতির অভিযোগে অভিযুক্ত জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুর রশীদকে ভিসির পিএস বানানোর অভিযোগ এনে ৫ সেপ্টেম্বর রেজাউল করিম নামে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্বিবিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যানসহ বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযোগ করেছেন। জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুর রশীদ বর্তমানে ভিসির পিএস হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। ইতিপূর্বে এ অভিযোগে আব্দুর রশীদকে বিশ্বিবিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হলেও ভিসির নির্দেশে অল্পদিনেই তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হয়ে যায়।
এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিমের পাঠানো অভিযোগ থেকে জানা যায় ২০১৮ সালে জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুর রশীদ তার স্কুল জীবনের বাল্যবন্ধু মঞ্জুরুর রহমানকে বিশ্বিবিদ্যালয়ে পিএ পদে চাকুরী দেয়ার নাম করে ১৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। পরে অবশ্য চাকুরী দিতে ব্যর্থ হওয়ায় মঞ্জুরুর রহমানকে ঘুষের এ টাকা ফেরত দেন তিনি। যা নিয়ে তৎকালীন যবিপ্রবিতে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ২০১৯ সালে জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুর রশীদ বিশ্বিবিদ্যালয়ের টেকনিক্যাল অফিসার হেলালুল ইসলামের অফিসিয়াল তথ্য পাচারের অভিযোগে তদন্ত কমিটির কাছে দোষী সাব্যস্ত হন। তথ্য পাচার আইন ও বিশ্বিবিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বিধি অনুযায়ী আব্দুর রশীদের চাকুরী থাকার কথা নয়। অথচ ভিসি এব্যাপারে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো মাফ করে দেন। এভাবে ধুরন্ধর আব্দুর রশীদ একের পর এক অপকর্ম করলেও রহস্যজনক কারণে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রুহণ করা হচ্ছে না, উপরন্ত তাকে প্রমোশন দেয়ার পায়তারা চলছে। এব্যাপারে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বিবিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুর রশীদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি খুবই ব্যস্ত, স্যার ডেকেছেন, আমি পরে আপনার সাথে যোগাযোগ করবো
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট