মোঃ মকবুল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি :
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রধান কৌঁসুলির বিশেষ উপদেষ্টা টবি ক্যাডম্যান সম্প্রতি ঢাকায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে তিনি ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের মামলাগুলো আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) পাঠানোর সুপারিশ করেন। টবি ক্যাডম্যানের মতে, আইসিটি’র আইনি ও বিধিবদ্ধ কাঠামোতে সংশোধন আনা প্রয়োজন, যাতে প্রতিষ্ঠানটি আগের স্বৈরাচারী শাসনের ধারাবাহিকতা হিসেবে বিবেচিত না হয়। তিনি মৃত্যুদণ্ড সংক্রান্ত বিষয় ও প্রমাণ গ্রহণের নীতিমালা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন, যাতে ন্যায়বিচার ও সুবিচারের সর্বোচ্চ মান বজায় থাকে।
অধ্যাপক ইউনূস আইসিটি প্রসিকিউশন টিমের কাজের প্রশংসা করে আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। তিনি উল্লেখ করেন, জাতিসংঘের সাম্প্রতিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে যে, ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের শামিল। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বের জানা উচিত ১,৪০০ শিক্ষার্থী, বিক্ষোভকারী ও শ্রমিকদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছিল কে এবং মূল অপরাধীরা কারা। তিনি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।
বৈঠকে সাক্ষীদের নিরাপত্তা, চুরি হওয়া সম্পদ উদ্ধারের পদক্ষেপ, আইসিটি ও প্রসিকিউশন টিমের সম্পূর্ণ সহায়তা নিশ্চিত করা, অভিযুক্তদের জন্য সুবিচার নিশ্চিতে মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ এবং বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া, আগের সরকারের আমলে লুটপাট হওয়া সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও দেশে ফিরিয়ে আনার আইনি ও প্রশাসনিক প্রক্রিয়া নিয়েও পর্যালোচনা করা হয়।
বৈঠকের শেষে অধ্যাপক ইউনূস টবি ক্যাডম্যানকে উপহার ও নতুন বাংলাদেশের প্রতীকী বার্তা ‘আর্ট অব ট্রায়াম্ফ: গ্রাফিতি অব বাংলাদেশের নিউ ডন’ বইটি উপহার দেন, যা বাংলাদেশের নতুন যুগের আশা ও দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট