মোঃ মকবুল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি :
একটি শিশু—মাত্র আট বছর বয়স। যে বয়সে তার হাতের পুতুলের জামা বদলানোর কথা, বইয়ের পাতায় রঙিন ছবি আঁকার কথা, সেই বয়সে তাকে সহ্য করতে হলো এক বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতা। মাগুরায় এই নিষ্পাপ শিশুটির ওপর যে পাশবিকতা চালানো হয়েছে, তা শুধু একটি ব্যক্তিগত ঘটনা নয়—এটি আমাদের সমাজের ভয়ংকর চিত্র তুলে ধরে।
আমাদের সমাজ কি সত্যিই শিশুদের জন্য নিরাপদ?
আমরা কি এমন এক সমাজে বাস করছি, যেখানে শিশুরাও নিরাপদ নয়? যেখানে তারা খেলতে বের হতে ভয় পায়, যেখানে তাদের সরলতা আর দুর্বলতাকে পুঁজি করে বিকৃত মানসিকতার মানুষরা হিংস্র জানোয়ারে পরিণত হয়? এই ধরনের জঘন্য অপরাধ বারবার ঘটলেও, আমরা যেন অভ্যস্ত হয়ে গেছি প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে ফেলতে।
কিন্তু এই নৃশংসতার বিরুদ্ধে এবার কি আমরা চুপ থাকব? নাকি গর্জে উঠব?
বিচারহীনতার সংস্কৃতি কতদিন চলবে?
এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে, কারণ অপরাধীরা জানে, তারা পার পেয়ে যাবে। বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা, দুর্নীতি আর উদাসীনতা তাদের আরও সাহসী করে তুলছে। এই সমাজ কি তাহলে অপরাধীদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠছে? যদি প্রতিটি অপরাধীর যথাযথ শাস্তি হতো, তবে আজ হয়তো আরেকটি শিশুর জীবন অন্ধকারে ঢেকে যেত না।
আমরা যদি এখনো চুপ থাকি, তবে এই অপরাধ চলতেই থাকবে। আজ এই শিশুটি, কাল হয়তো আমাদেরই চেনা কোনো মুখ এই দুঃস্বপ্নের শিকার হবে।
এখনই সময়—প্রতিবাদ গড়ে তোলার!
আমরা যদি সত্যিই মানবতার পক্ষে থাকি, তবে আমাদের নীরবতা ভাঙতে হবে। সোচ্চার হতে হবে প্রতিটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে। প্রশাসনের কাছে জোরালো দাবি জানাতে হবে—এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই, দ্রুত চাই!
শুধু বিচারই যথেষ্ট নয়, আমাদের সমাজব্যবস্থারও আমূল পরিবর্তন দরকার। শিক্ষাব্যবস্থায় নৈতিকতা ও যৌনশিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে, আর অভিভাবকদেরও হতে হবে আরও সচেতন। শিশুদের এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে, যেন তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শেখে, ভয় না পায়।
আমরা যদি আজ প্রতিবাদ না করি, তবে অপরাধীরা আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। তাই বলছি—
আমরা নীরব নই! আমরা প্রতিবাদী! এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই! আর কোনো শিশুর নিরাপত্তা নিয়ে আপস নয়!
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট