পাবনা প্রতিনিধি :
ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন জেলা পাবনা। ১৮৭৬ সালে পাবনা পৌরসভা স্থাপিত হয়েছে। অথচ প্রায় অর্ধ যুগ ধরে পাবনা পৌরসভার সাপ্লাই পানির বেহাল দশা। দেখার যেন কেউ নেই। ময়লা ও তীব্র দুর্গন্ধযুক্ত সাপ্লাই পানির কারণে অতিষ্ট শহরবাসী। দিনের নির্দিষ্ট একটা সময়ে ভালো পানি আসলেও অধিকাংশ সময়ই ঘোলা, কালো বিশ্রী দুর্গন্ধ পানি আসে। যা দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারের অযোগ্য। অস্বাস্থ্যকর এই পানি পেটের পীড়া ও চর্মরোগ সহ বিভিন্ন রকমের পানিবাহিত রোগ ছড়াতে পারে এমনটাই আশঙ্কা করছেন সাধারন মানুষ।
টিউবওয়েল বিহীন বাসাবাড়ি ও মেসগুলোতে পানি সংকট আরও চরমে উঠেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমল থেকেই পানির এই অবস্থা। পৌর কর ও পানির বিল নিয়মিত পরিশোধ করেও পৌর কোনো সুবিধা সেভাবে মিলছে না।
এ বিষয়ে শহরের ১০ নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম জানান, পানির ওপর নাম জীবন অথচ সেই পানিতেও পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা। প্রায় অর্ধ যুগ ধরে পৌরসভার সাপ্লাই পানির বেহাল দশা। দিনে দুই একবার ভালো পানি আসলেও অধিকাংশ সময়ই ঘোলা, কালো ও তীব্র দুর্গন্ধযুক্ত পানি আসে। যা দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারের অযোগ্য। আমাদের এলাকার টিউবওয়েলের পানিতে প্রচুর আয়রন তাই আমরা সাপ্লাই পানি ফুটিয়ে খাই। কিন্তু এই পানির যা অবস্থা তাতে আমরা ভয়াবহ স্বাস্থ্য ঝুকিতে আছি। এর আগে অনেকবার অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি। অথচ মাস গেলে পানির বিল সময়মতই পরিশোধ করতে হয় আমাদের।
শহরের ১১ নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম বাটুল বলেন, দিনের নির্দিষ্ট একটা সময় ছাড়া অন্য সময় পানি ছাড়লেই বিশ্রী দুর্গন্ধযুক্ত পানি আসে। যেই পানি দিয়ে কোনো রকমে টয়লেটের কাজ ছাড়া অন্য কোন কাজ করা যায় না। এই রমজান মাসেও দুর্গন্ধমুক্ত পানি পাচ্ছি না আমরা।
শহরের ১২ নং ওয়ার্ডের শেফা বলেন, দিনের নির্দিষ্ট একটা সময় ছাড়া অন্য সময় পানি ছাড়লেই ময়লা ও বিশ্রী দুর্গন্ধযুক্ত পানি আসে। বিশেষ করে দুর্গন্ধ এতটাই তীব্র যে পানি ছাড়লেই অনেক দূর থেকেও দুর্গন্ধ ভেসে এসে নাকে লাগে। আর শরীরের লাগলেতো কথাই নেই শরীরও বিশ্রী দুর্গন্ধ হয়ে হয়ে যায়। এই পানি গায়ে লাগাতেই গা ঘিনঘিন করে ওঠে। কি যে একটা অবস্থা বলার মতো না।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে পাবনা পৌরসভার কর্তৃপক্ষের কাছে কল দিয়ে জানতে চাইলে কলে কাউকে পাওয়া যায়নি।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট