বিজিবি কর্তৃক শারীরিক ভাবে অমানুষিক নির্যাতন ও মিথ্যা-হয়রানি মূলক মামলা দেওয়ার প্রতিবাদে সোমবার দুপুর ১২ টার সময় যশোর প্রেশক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।রিমা।যশোরের শার্শা উপজেলার গ্রাম সাতমাইল (বাগ আঁচড়া)সোহাগ মিয়া (বড় বাবু) বাড়িতে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বুধবার গভীর রাত থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টা পর্যন্ত আমাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কোন প্রকার মাদক বা অবৈধ পন্য পায়নি, না পেয়ে বাড়ি ঘরে ব্যাপক ভাংচুর সহ পরিবারের সদস্যদের শারিরিক নির্যাতন করে। অথচ, গত ১৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নাটকীয় ভাবে বেনাপোল বিজিবি ক্যাম্পে প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে ঘোষণা দেয়, আমার স্বামীকে ইয়াবা, ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ আটক করেছে। এবং ৩ জনকে আসামী করে বেনাপোল পোর্ট থানায় মিথ্যা ও হয়রানি মূলক একটি মামলা করেছে। এ সময় আমার সহ আমার দেবরের স্ত্রী কে ব্যাপক মারধর করে। তার প্রতিবাদে যশোর প্রেশক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। শুধু এখানেই শেষ নয় আমি সহ আমার দেবরের বউকে মারপিট করে তারা মারাত্নকভাবে জখম হয় এবং সে বর্তমানে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছে।আমি রিমা খাতুন, স্বামী সোহাগ মিয়া (বড় বাবু), গ্রাম : সাতমাইল (বাগআঁচড়া), শার্শা, যশোরের বাসিন্দা। আপনারা ইতিমধ্যে অবগত হয়েছেন যে, বেনাপোল ক্যাম্পের বিজিবি ১৪ সেপ্টেম্বর বুধবার গভির রাত থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টা পর্যন্ত আমাদের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি ঘরে ব্যাপক ভাংচুর সহ পরিবারের সদস্যদের শারিরিক নির্যাতন চালালেও কোন মাদক দ্রব্য বা অবৈধ পন্য উদ্ধার করতে পরেনি। এসময় আমার স্বামী সোহাগ মিয়া (বড় বাবু) কে এলাকাবাসীর সামনে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। অথচ, গত ১৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নাটকীয় ভাবে বেনাপোল বিজিবি ক্যাম্পে প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে ঘোষণা দেয়, আমার স্বামীকে ইয়াবা, ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ আটক করেছে এবং ৩ জনকে আসামী করে বেনাপোল পোর্ট থানায় মিথ্যা ও হয়রানি মূলক একটি মামলা করেছে। এ সময় আমার সহ আমার দেবরের স্ত্রী কে ব্যাপক মারধর করে। তাতে সে মারাত্নকভাবে জখম হয় এবং সে বর্তমানে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছে।আমি প্রশাসনকে জানাতে চাই, আমার বাড়িতে বিজিবি’র ব্যাপক অভিযানকালে কোন মাদক দ্রব্য বা অবৈধ পন্য আটক করতে না পারলেও তারা কিভাবে আমার স্বামীকে এত গুলি মাদক দিয়ে মামলা দিল। অভিযানকালে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। সেখান হতে এক টুকরোও অবৈধ পণ্য উদ্ধার করতে পারেনি। রিমা সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমার স্বামী ও আমার দেবর গ্রাম থেকে গরু কিনে সাতমাইল বাগ আঁচড়া বাজারে বিক্রি করে তারা দুজনেই দিন মজুর সাতমাইল বাগ আঁচড়া বাজারে তারা শ্রমিকের কাজ করে আমাদের একটিমটর সাইকেল নিয়ে গেছে। আমাদের বাড়িতে একটি প্রাইভেটকার ছিলো ভাড়ার ভাংচুর করা হয়েছে। আমার পরিবারের কেহ কখনো কোন অবৈধ কারবারের সাথে সম্পৃক্ত নয়। অথচ আমরা যে মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলার শিকার হয়েছি তার আমি সঠিক বিচার চাই।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট