(🥢এস এম মনিরুজ্জামান আকাশ)
প্রকৃতির প্রতিশোধ বড়ই নির্মম! মনে রেখো হে পৃথিবীবাসীরা। পৃথিবীর দিকে মুসলিমরা আজ বড়ই নির্মম নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। বিশেষ করে বলতে পারি ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল যুদ্ধে হাজার হাজার বেসামরিক মুসলিম নারী-শিশুসহ মুসলিমদেরকে যুদ্ধনীতি বহির্ভূত ভাবে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে? কিন্তু জোড়ালো ভাবে প্রগিবাদ ও কথা বলার মতো কোন মানবাধিকার সংগঠন, মানবাধিকার নেতৃবৃন্দ জাতি রাষ্ট্রকে দৃশ্যমান উদ্যোগ নিতে দেখলাম না। গুটি কয়েক মুসলিম রাষ্ট্র সীমিত সাধ্যের মধ্যে ঘাত-প্রতিঘাত করতে উদ্যৃত হয়ে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। বৃহৎ বৃহৎ মুসলিম রাষ্ট্রগুলো নিঃরবে পর্যবেক্ষণ করছে নিবিড় ভাবে চলমান পরিস্থিতি। সত্যি সত্যিই দুঃখ জনক। জাতি সংঘ নামে প্রতিষ্ঠান থাকলেও সেটি দুটি অংশে কার্যক্রম পরিচালনা করে। নিরাপত্তা পরিষদ ও সাধারণ পরিষদ। নিরাপত্তা পরিষদের কাছে সাধারণ পরিষদ সমকক্ষ নয়। নিরাপত্তা পরিষদের ক্ষমতা বিশ্ব মোড়লদের হাতে নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি সহ।
পৃথিবীতে সাতশো কোটির বেশি মানুষের বসবাস হলেও এখানে দুইশো কোটির উপরে মুসলিমদের বসবাস।তারপরেও এই যে মুসলিম জাতি রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক মধুর না হওয়ায় রোজই শত সহস্র মুসলিম নারী-শিশু জনগন শহীদ হচ্ছেন। ফিলিস্তিনের আকাশ বাতাস আজ ভারী, হাহাকার-আর্তনাদ চাপা কষ্ট, নিরবে সয়ে ঈমানের পরীক্ষা দিতে রোজ প্রতি মুহূর্তই ব্যস্ত পবিত্র ভূমির জনগন।
যুদ্ধ বিরতির আলোচনা ইস্যু চলমান থাকার পরেও থামেনি গনহত্যা, নির্বিচারে নারী-শিশু হত্যা।
ভূরাজনৈতিক তৎপরতা এখন দানা বেঁধে উঠার কারনে কেউ চায়না প্রতিবাদ করতে।
ফিলিস্তিনের প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে যে সকল রাষ্ট্রের ফিলিস্তিনের পক্ষে প্রতিবাদ করা উচিৎ , সে সকল রাষ্ট্র ঈমানী দায়িত্ব বিসর্জন দিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় ভাবে বিবৃতির মাধ্যমে অন্তত পক্ষে ফিলিস্তিনের জনগনকে সান্ত্বনা দেওয়া উচিত। বিগত সরকারের আমলে দেখেছি সরকার প্রধান বলিষ্ঠ কন্ঠে ফিলিস্তিন ও ফিলিস্তিনের জনগনের পক্ষ দ্ব্যর্থহীন ভাবে সমর্থন ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের দৃশ্যত সংস্কার হিসেবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিবৃতি দান করা উচিত হবে।
প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্কের অবনতি বলতে গেলে তলানীতে ঠেকেছে! প্রতিবেশী ভারতে প্রতিদিন মুসলিমরা অপদস্ত হচ্ছে, নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, ব্যক্তি স্বাধীনতা প্রতিমুহূর্তেই মৃত্যুবরন করছে।
ভারতে সংখ্যা লঘু হিসেবে মুসলিমদে উপর অকথ্য নির্যাতনের জন্য তীব্র নিন্দা ঘৃনা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় না হলেও মুসলিমদের মানবাধিকার ধর্মীয় স্বাধীনতার পক্ষ কথা বলার অধিকার বাংলাদেশের জাতি রাষ্ট্র হিসেবে আছে। ফিলিস্তিন ইসরাইলের যুদ্ধ বিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার মধ্যেও অতর্কিত আক্রমণ মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
আমি পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় মুসলিমদের উপর অত্যাচার নির্যাতন, নিপীড়ন সহ সকল বেআইনী কাজের বিরোধিতা করছি। ফিলিস্তিন ও ভারতের মুসলিমদেরকে নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ঘৃনা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে ফিলিস্তিন ও ভারতের প্রতি মানবাধিকার সনদ অনুযায়ী নাগরিক অধিকার সুরক্ষায় ইসরায়েল ও ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের মানবিক বোধ সম্পন্ন আচরণ আশা করছি।
জাতিসংঘ, ওআইসি, সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহমর্মিতা মুসলিমদের অধিকার রক্ষায় প্রয়োজনীয় ভুমিকা রাখবে।তাই সকল মুসলিম রাষ্ট্র গুলোর প্রয়োজন একাত্মতায় প্রতিবাদ করা। বেসামরিক লোকজনকে নিরাপদে রাখতে সকল মুসলিম রাষ্ট্র গুলোর সাহসী পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। বিশ্ববিবেক নিশ্চুপ ঝরছে মুসলিমের রক্ত। হয়তো প্রতিবাদ প্রতিরোধ মানুষের পক্ষ থেকে নেওয়া হলো না!
প্রকৃতি পরিবেশ সঠিক ভাবে অবলোকন করছে, পর্যবেক্ষণ করছে অমানবিক কাজগুলো ! হয়তো প্রকৃতি ক্ষমা করতে চাইলেও ক্ষমা করবেনা। চরমভাবে প্রতিশোধ নিবে।
(২২শে মার্চ ২০২৫)
🎤✒️এস এম মনিরুজ্জামান আকাশ
কবি-কলামিস্ট, সাংবাদিক-গীতিকার,
পরিবেশ ও মানবাধিকার কর্মী,
সভাপতি-
গ্রিনপিস বাংলা, পাবনা জেলা শাখা।
(ইমেলঃ 2024pabna@gmail)
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট