শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন
মোঃ মকবুল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি:
ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে গাজায় নারী-শিশুসহ নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর বর্বর হামলা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মদত এবং সম্প্রতি ভারতীয় উগ্রবাদীদের হাতে মুসলিম নির্যাতনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে রাজধানীর সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের মূল ফটকের সামনের রাস্তায় তিন দেশের পতাকা অঙ্কন করেছে শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২১ মার্চ) বেলা ১১:৩০ মিনিটে কলেজের উচ্চমাধ্যমিক বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীর উদ্যোগে এই প্রতীকী প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়। পতাকাগুলো অঙ্কনের সময় শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ইসরায়েল, আমেরিকা ও ভারত বিশ্বব্যাপী অন্যায়-অবিচারের প্রধান উৎস, এবং তাদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো প্রতিটি ন্যায়পরায়ণ মানুষের কর্তব্য।
এই প্রতিবাদের নেতৃত্ব দেন উচ্চমাধ্যমিকের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তারিকুল ইসলাম। তার সঙ্গে ছিলেন সায়েম, রোহান, ইভান, নিলয় এবং ব্যবসা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব মিয়া।
তারা জানান, এর আগে ‘সোহরাওয়ার্দী কলেজ পরিবার’ নামক ফেসবুক গ্রুপে পতাকা অঙ্কনের পরিকল্পনা তুলে ধরা হলে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী এতে সমর্থন জানায়। পরে সকলে মিলে কলেজের মূল ফটকের সামনের রাস্তায় ইসরায়েল, আমেরিকা ও ভারতের পতাকা এঁকে তাতে প্রতীকী বার্তা লিখে দেন।
অঙ্কিত পতাকাগুলোর মধ্যে ইসরায়েলের পতাকায় লেখা হয় ‘অবৈধ সন্তান’, আমেরিকার পতাকায় লেখা হয় ‘বাপ’, এবং ভারতের পতাকায় লেখা হয় ‘দালাল’। শিক্ষার্থীদের ভাষ্যমতে, এই তিন দেশ ফিলিস্তিনসহ বিভিন্ন মুসলিম ভূখণ্ডে অন্যায় দখলদারিত্ব ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী।
বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তারিকুল ইসলাম বলেন, “বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সংঘাত, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও রাজনৈতিক অস্থিরতার পেছনে আমেরিকা, ইসরায়েল ও ভারতের ভূমিকা সুস্পষ্ট। ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের ওপর অবিচার চালাচ্ছে, আমেরিকা তাদের অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করছে, আর ভারত মুসলিমদের ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে। কাশ্মীর থেকে শুরু করে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে মুসলমানদের নিপীড়ন করা হচ্ছে। তাই এই তিন দেশের পতাকা পায়ের নিচে রেখেই আমাদের প্রতিবাদ জানানো।”
তিনি আরও বলেন, “এই পতাকাগুলো প্রতিদিন কলেজের শিক্ষার্থীদের পায়ের নিচে পড়বে, আর এভাবেই আমরা আমাদের ঘৃণা প্রকাশ করবো।”
এই প্রতিবাদের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরে । অনেকে একে সাহসী প্রতিবাদ হিসেবে দেখছেন।
ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদের ঝড় উঠলেও ইসরায়েল তার আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের এই প্রতিবাদ প্রমাণ করে যে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কণ্ঠ তোলা কেবল রাজনৈতিক নেতাদের নয়, বরং সাধারণ শিক্ষার্থীদেরও নৈতিক দায়িত্ব।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট
