মোঃ মকবুল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি:
রাজধানী ঢাকায় পুরুষকে প্রলোভনে ফেলে গোপনে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে বিভিন্ন পুরুষকে ভয় ভীতি দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন ১টি নারীচক্র।
ঢাকা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ১টি ফ্ল্যাট থেকে তাদের গ্রেপ্তারের পর পুলিশ বলছে, এই চক্র ফেমডম গ্রুপ হিসেবে পরিচিত, নারীরা নিজেদের মিসট্রেস হিসেবে পরিচয় দেন।
এসব ভিডিও বিক্রি করা হতো বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে, পাশাপাশি অনেককে ভিডিওর ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে মোটা অঙ্কের অর্থও আদায় করা হতো।
এ ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে পুলিশ, তাদের সাথে থাকার চক্রের বাকি লোকদের গ্রেপ্তারে অভিযান ও অনুসন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে ভাটারা থানার পুলিশ।
গ্রেপ্তার কৃত ২ নারী হলেন-শিখা আক্তার (২৫) ও সুইটি আক্তার জারা (২৫), তারা দুইজন বান্ধবী বলে জানান পুলিশকে।
গ্রেপ্তারের পর ওই দুই নারীর কাছ থেকে বেশ কিছু ভিডিও পাওয়া যায় যেগুলো ফেমডম সেশন এর অংশ, এছাড়া বিকৃত যৌনাচারে ব্যবহৃত একটি চাবুক, বিশেষ পোশাক, হাইহিল বুট জুতা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
এদের একটি টেলিগ্রাম গ্রুপ থাকার তথ্য দিয়ে এসআই ইকবাল সাংবাদিকদের কে বলেন, এই গ্রুপের সাথে এক ব্যক্তি যোগাযোগ করে এক ঘণ্টার ফেমডম সেশন বুকিং করেন, পরে ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশকে খবর দিলে সেখান অভিযান চালানো হয়।
এ ধরনের চক্রের সদস্য গ্রেপ্তারের ঘটনা বাংলাদেশে প্রথম বলে মনে করছেন ভাটারা থানার এসআই ইকবাল হেসেন।
পুলিশ কর্মকর্তা ইকবাল বলেন, যেসব পুরুষ এ বিষয়ে আগ্রহী তারা গ্রুপে যোগাযোগ করে ১ ঘন্টার জন্য ৩ থেকে ৫ হাজার টাকায় সেশন বুকিং করেন।
পুরুষরা সেখানে গিয়ে স্বেচ্ছায় তরুণীর হাতে কথিত নির্যাতনের শিকার হন, এতে সে পুরুষরা আনন্দ পান বলে গ্রেপ্তার দুই নারী বলেছেন।
যখন কথিত নির্যাতন চলে তখন সে পুরুষের অনুমতি নিয়ে ভিডিও করার দাবি করে তিনি বলেন, পরে সে ভিডিও ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকায় কিনে নেয় পুরুষটি, এসব ভিডিওর কিছু অংশ তাদের নির্ধারিত গ্রুপে পোস্ট করে থাকে।
প্রতিদিন তারা ২ থেকে ৩ জনের বুকিং নেন বলে পুলিশকে বলেছেন গ্রেপ্তার দুই নারী।
এসআই ইকবাল বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ২ নারী ৬ থেকে ৭ মাস ধরে এর সঙ্গে জড়িত, যে ফ্ল্যাট থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেই ফ্ল্যাটে তারা ২ মাস ধরে ছিলেন।
তাদের নির্ধারিত কিছু গ্রাহক রয়েছেন যারা নিয়মিত সেখানে আসেন, বলেন তিনি।
২ নারীকে জিজ্ঞাসাবাদে বরাতে এ ধরনের আরও চক্র থাকার কথা তুলে ধরে এসআই ইকবাল বলেন, তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট