মোঃ মকবুল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি:
ভারত কর্তৃক পাকিস্তান ও পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে বিমান হামলার পর চলমান উত্তেজনাকে ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। এখন পর্যন্ত যা জানা গেছে, তা নিচে তুলে ধরা হলো:
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বকে ‘গভীর উদ্বেগজনক’ বলে অভিহিত করেছেন। রাশিয়াও জানিয়েছে, এই সামরিক উত্তেজনা নিয়ে তারা অত্যন্ত চিন্তিত। তুরস্কের মতে, ভারতের হামলা যুদ্ধের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলেছে।
সংঘাতের জেরে ভারত ও পাকিস্তানে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৫০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। ফ্লাইটরাডার২৪-এর তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানে ১৬ শতাংশ এবং ভারতে প্রায় ৩ শতাংশ বাণিজ্যিক ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
ভারতীয় সূত্রমতে, পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় কাশ্মীরে ১৫ জন নিহত এবং ৪৩ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে, পাকিস্তান দাবি করছে যে, ভারতের বিমান হামলায় তাদের ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ জানিয়েছেন, তাদের নিরাপত্তা বাহিনী ভারতীয় পাঁচটি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে— যার মধ্যে দুটি কাশ্মীর এবং একটি ভারতের বাথিন্দা এলাকায়।
বাংলাদেশের বেশ কিছু এয়ারলাইন্স এখন পাকিস্তানের আকাশপথ এড়িয়ে চলছে, যার ফলে বিকল্প রুট ব্যবহারে ফ্লাইটে সময় বেশি লাগছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
ভারত দাবি করেছে, বুধবার রাতের মধ্যভাগে তারা পাকিস্তান ও কাশ্মীরের নয়টি স্থানে অভিযান চালিয়েছে, যেগুলো তাদের মতে ‘সন্ত্রাসী ঘাঁটি’। তারা বলেছে, এই হামলা পরিকল্পিত, নিয়ন্ত্রিত এবং উসকানিবিহীন। অন্যদিকে পাকিস্তান জানিয়েছে, ভারত তাদের ছয়টি অঞ্চলের ২৪টি স্থাপনায় আঘাত হেনেছে, যা তারা ‘কাপুরুষোচিত’ বলে নিন্দা জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মাসে পহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনার পর থেকে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক দ্রুত অবনতির দিকে যাচ্ছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, ওই হামলায় জড়িতদের সঙ্গে পাকিস্তানের যোগসূত্র রয়েছে। তবে পাকিস্তান এই অভিযোগ জোরালোভাবে অস্বীকার করেছে।
হামলার প্রতিক্রিয়ায় দুই দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে নানা ধরনের পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, যেমন সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া এবং নদীর পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত রাখা।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট