মোঃ মকবুল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি:
মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এক টানা দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ফোনে কথা বলেছেন। ট্রাম্পের ভাষ্যমতে, এটি ইউক্রেন যুদ্ধের ‘রক্তস্নান’ বন্ধে এক গুরুত্বপূ্র্ণ প্রচেষ্টা।
সোমবার এনবিসি নিউজ এর বরাত দিয়ে দি ডেইলি স্টার বাংলা এই খবরটি প্রকাশ করে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট পুতিন এই আলোচনাকে ‘খুবই তথ্যবহুল ও খোলামেলা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং ন্যাটো জোটের সদস্য দেশগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ করবেন।
এদিন রোমে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। তিনি বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে কিছুটা অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। আমার মনে হয়, প্রেসিডেন্ট পুতিনের প্রতি এটি বোঝার আহ্বান জানানো উচিত যে, তিনি কতটা আন্তরিকভাবে শান্তি চান।”
তিনি আরও যোগ করেন, “যুক্তরাষ্ট্র সবসময়ই আলোচনার পক্ষে থেকেছে। রাশিয়া যদি শান্তিপূর্ণ উপায়ে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আগ্রহী হয়, তবে অর্থনৈতিক নানা সুফল পেতে পারে। তবে বেসামরিক মানুষের প্রাণহানী চলতে থাকলে সেই সুযোগ আর থাকবে না।”
টেলিফোন আলাপের আগে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রকে ‘অত্যন্ত মূল্যায়ন করে’ এবং ‘আমেরিকার প্রতি কৃতজ্ঞ’। তিনি আরও জানান, “যদি যুক্তরাষ্ট্র শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করে, তবে রাশিয়া সেই পথই বেছে নেবে।”
ট্রাম্প-পুতিন সংলাপের আগে রোববার ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালির নেতারা ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করেন। ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা পুতিনকে যুদ্ধবিরতি ও শান্তি আলোচনার গুরুত্ব উপলব্ধির আহ্বান জানিয়েছে।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এক্স-এ দেওয়া বার্তায় বলেন, “ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ও ইউক্রেন-ইউরোপ সমর্থিত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি গ্রহণ করে পুতিনকে দেখাতে হবে যে তিনি প্রকৃত অর্থেই শান্তি চান।”
তবে আলোচনার পরও পুতিন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার অবস্থানে পরিবর্তনের কোনো ইঙ্গিত দেননি। তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাতে আগ্রহী কিনা, সে সম্পর্কেও কোনো মন্তব্য করেননি।
ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ এক পোস্টে বলেন, “ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আমার দীর্ঘ সময়ের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, রাশিয়া ও ইউক্রেন শিগগির শান্তিপূর্ণ আলোচনার পথে এগিয়ে যাবে। যুদ্ধের ইতি টানা সম্ভব হবে, তবে সমঝোতার চূড়ান্ত রূপরেখা নির্ধারণে একমাত্র দুই পক্ষেরই ভূমিকা থাকবে— কারণ, তারাই সবচেয়ে ভালো জানে এই সংঘাতের প্রকৃত রূপ।”
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট