মোঃ মকবুল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি:
সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় রাজনীতিতে নতুন করে উত্তাপ ছড়িয়েছে বিএনপি ও নবগঠিত এনসিপির মধ্যে প্রকাশ্য বিরোধকে ঘিরে। বিশেষ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে তরুণ রাজনীতিক ইশরাক হোসেনের শপথ গ্রহণকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি আরও জটিল রূপ নিয়েছে।
বিএনপি অভিযোগ করছে, সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে। অন্যদিকে, এনসিপি কার্যত সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বিএনপির বিরোধিতায় নেমে পড়েছে। দলটি সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন ভবন ঘেরাও করে সরকারের তিন উপদেষ্টাকে বিএনপিপন্থী আখ্যা দিয়ে তাদের পদত্যাগ দাবি করেছে।
২০২৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরুর সময় এনসিপি ‘নতুন ধারার রাজনীতি’র প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু সময় গড়াতেই দেখা যাচ্ছে, দলটি পুরনো রাজনীতির কৌশলেই হাঁটছে। একের পর এক নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠছে, যা এনসিপির ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
এছাড়া সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই ছাত্র উপদেষ্টার এনসিপির হয়ে প্রকাশ্যে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে, যা রাজনৈতিক শিষ্টাচার নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। এমনকি এনসিপির অভ্যন্তরেও এই বিষয় নিয়ে অসন্তোষের ইঙ্গিত মিলেছে—দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে চলা আলোচনায় তা প্রকাশ পেয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে জুলাই মাসে গড়ে ওঠা বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে আবারও ঐক্য গঠনের উদ্যোগ নিচ্ছে এনসিপি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দলটির নেতারা এখন আত্মসমালোচনার পাশাপাশি ঐক্য ও পুনর্গঠনের বার্তা দিচ্ছেন।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট