মোঃ মকবুল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর হাতিয়ার চরঈশ্বর ইউনিয়নের কমলার দিঘী এলাকায় মেঘনা নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, “ছাত্র-জনতার রক্তে গড়া ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানকে উপেক্ষা করে যদি ড. মুহাম্মদ ইউনূস টিউলিপ সিদ্দিকীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, তবে তা হবে জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।”
তিনি বলেন, “টিউলিপ সিদ্দিকী এমন একজন ব্যক্তি যিনি খুন ও অর্থপাচারের মতো অপরাধে জড়িত। তার সঙ্গে দেখা করা মানে জনগণের আত্মত্যাগকে অগ্রাহ্য করা।”
সোমবার (৯ জুন) বিকেলে আয়োজিত সভায় হান্নান মাসউদ আরও বলেন, “১৯৭১ সালের পর স্বাধীন হওয়া দেশগুলো যেমন মাহাথির মোহাম্মদের মতো নেতার নেতৃত্ব পেয়েছে, আমরা পেয়েছি শেখ মুজিব, যার আমলে দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে। আজকের বাস্তবতায় ভারতের আগ্রাসী ভূমিকার পেছনে শেখ হাসিনা একটি প্রধান প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তাই শেখ হাসিনার পতন মানেই শুধু একটি সরকারের পতন নয়, বরং তা হবে ভারতীয় আধিপত্যের অবসান।”
২৪-এর আন্দোলনে হাজারো মানুষের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, “শুধু একটি নির্বাচনের জন্য এত রক্ত কেন? নির্বাচনের আগে একটি সুষ্ঠু পরিবেশ দরকার। ড. ইউনূস নির্বাচন নিয়ে রোডম্যাপ দিয়েছেন, কিন্তু বাস্তবায়নের আগে সব ঘর থেকে অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে, অস্ত্রধারীদের গ্রেফতার করতে হবে—তবেই গঠন হবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড।”
নিজ এলাকা হাতিয়া সম্পর্কে আবেগঘন কণ্ঠে তিনি বলেন, “অনেকে প্রশ্ন করে জাতীয় রাজনীতিতে থেকেও কেন আমি হাতিয়া নিয়ে ভাবি। আমি বলি, এখানকার মানুষের যন্ত্রণা আমার নিজের বলেই মনে হয়। এক সময় হাতিয়া ছিল সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য, আমি চাই এটিকে নিরাপদ, বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন হাতিয়া কলেজের সাবেক শিক্ষক মফিজুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, সমাজকর্মী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট