রিশাদ হোসেন,বিশেষ প্রতিনিধিঃ
গতকাল শনিবার, ১৪ জুন বিশ্ব রক্তদাতা দিবস।যারা জীবন রক্ষায় স্বেচ্ছায় রক্তদান করছেন তাদের উৎসাহ দিতেই দিবসটির সূচনা। ২০০৪ সালে দিবসটি প্রথম পালিত হয়েছিল। ২০০৫ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য অধিবেশনের পর থেকে প্রতিবছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এ দিবস পালনের জন্য তাগিদ দিয়ে আসছে। ইতিমধ্যে ১৮২ টি দেশ সম্পৃক্ত হয়েছে এ আন্দোলনে। বাংলাদেশেও অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হচ্ছে।
ছবিতে দেখানো রক্তদাতা, ডিগ্রীয়ান বার্তা ইছামতী কলেজ গ্রুপের একজন সেচ্ছাসেবী সদস্য-রাকিবুল হাসান শান্ত। তিনি এবার ৩য় তম এ পজেটিভ (A+) রক্তদান কারী।ইহা ছাড়াও অত্র গ্রুপের সামিউল, সানজিদ,আল-আমিন আনসারী,সোহান,মাসুদ,জামিনুল সহ অনেকেই সেচ্ছায় রক্ত দান সহ রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচির আয়োজন করেছেন।
বিশ্ব রক্তদাতা দিবস ও রক্ত দানের কারণ, ইচ্ছা, উপকার নিয়ে জানতে চাইলে রক্তদাতা রাকিবুল হাসান শান্ত আমাদের বলেনঃ আমার ১ব্যাগ রক্তের মাধ্যমে যদি কেউ উপকৃত হয়। সেই কারণে রক্ত দান করে থাকি। আমি সেচ্ছায় রক্ত দান করি। আমার রক্ত দানের সময় হলেই সুস্থতার সাথে রক্ত দান করে থাকি। এটি আমাকে আমার মন থেকে আনন্দিত করে তোলে।
রক্তদাতা দিবস পালন ও রক্তদান,রক্তের গ্রুপ নির্ণয় আগামীর কার্যক্রম নিয়ে জানতে চাইলে ডিগ্রীয়ান বার্তা ইছামতী কলেজ গ্রুপের একজন সিনিয়র এডমিন মুহাম্মদ আল-আমিন আনসারী আমাদেরকে বলেনঃ আমরা ইছামতি ডিগ্রী কলেজর ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ডিগ্রীয়ান বার্তা নামে একটি মানবিক ও সামাজিক উন্নয়ন মূলক সেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রতিষ্ঠা করি। ডিগ্রীয়ান বার্তা গ্রুপটি বেশ কিছু সেবা মূলক কার্যক্রম করে তারমধ্যে অন্যতম – রক্তদান। ১৪ই জুন, বিশ্ব রক্তদাতা দিবস।আমরা দিবসটি রক্তদানের মাধ্যমে পালন করি।গতকাল ১৪ই জুন,রাত ১২টা ১৭মিনিটে আমাদের একজন রক্তদাতা জনাব:বিশ্ব নাথ রায়, এক সিজার রুগীকে তার প্রথম তম ও পজেটিভ (O+) ব্লাড ডোনেশন করেন,ডক্টর ক্লিনিক রানীরবন্দরে। আমরা এভাবেই সামাজিক কার্যক্রম গুলো পরিচালনা করে থাকি।ধন্যবাদ জানাই আমাদের ইছামতি ডিগ্রী কলেজের সাধারণ ছাত্র ছাত্রী দের তারাই আমাদের অনুপ্রেরণা ও ডিগ্রীয়ান বার্তা গ্রুপের এডমিন পরিষদকে।
অপরদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবমতে, প্রতিবছর বিশ্বের ৯ কোটি ২০ লাখ মানুষ রক্ত দিয়ে থাকেন। তবে উন্নত বিশ্বে স্বেচ্ছায় রক্তদানের হার হাজারে ৪০ জন হলেও উন্নয়নশীল বিশ্বে হাজারে ৪ জনেরও কম। একটি দেশের মাত্র ১ থেকে ৩ শতাংশ মানুষ নিয়মিত রক্তদাতা হলে সে দেশের রক্তের চাহিদা পুরোপুরি পূরণ করা সম্ভব।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট