মোঃ মকবুল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি:
পাকিস্তানের করাচিতে একটি পুরোনো আবাসিক ভবন ধসে পড়ার ঘটনায় অন্তত ১৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। শহরের লায়ারি এলাকার শাইখা রোডে শুক্রবার বিকেলে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে প্রায় ৩০ জন আটকা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপ থেকে এখন পর্যন্ত ৫ জন নারী, ৮ জন পুরুষ এবং ৭ বছর বয়সী এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকেই উদ্ধার কার্যক্রম চলছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে করাচির মেয়র মুর্তাজা ওয়াহাব জানান, ধসে পড়া ভবনটি ১৯৭৪ সালে নির্মিত হয় এবং কয়েক বছর আগে এটি ‘বিপজ্জনক’ ঘোষণা করেছিল নগর প্রশাসন। তবে তা সত্ত্বেও ভবনটিতে বাসিন্দারা অবস্থান করছিলেন।
তিনি আরও বলেন, “আমরা চাইলে আইন প্রয়োগ করে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন থেকে লোকজন সরিয়ে দিতে পারি। কিন্তু কোনো উন্নত নগর প্রশাসন এমন কঠোর পন্থা গ্রহণ করে না। আমরা তাদেরই অনুসরণ করি। তবে আজকের দুর্ঘটনা যেন সকলের জন্য সতর্কবার্তা হয়।”
করাচির পুরোনো শহর এলাকায় এমন বিপজ্জনক ভবনের সংখ্যা চার শতাধিক। নগর কর্তৃপক্ষ বহুবার সতর্ক করলেও অনেকেই তাতে কর্ণপাত করেননি। বিশেষ করে লায়ারি এলাকার ভবনগুলো এত সন্নিকটে যে একটির ধস অন্যটিকেও ঝুঁকির মুখে ফেলে।
ধসে পড়া ভবনটির দুই পাশেই লাগোয়া ছিল দুটি আবাসিক ভবন। দুর্ঘটনার পর নিরাপত্তার স্বার্থে সেখানকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও মরদেহ উদ্ধার হতে পারে, ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট