কক্সবাজার চকরিয়া প্রতিনিধিঃ-
ডাক্তার লিখে সকল রোগের চিকিৎসা করে, হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় বদরখালী বাজারে হোটেল মিতালীর দ্বিতীয় তলায় লাইসেন্সবিহীন ডাক্তার নামধারী চেম্বার খুলে জাঁকিয়ে বসেছেন উম্মে হাবিবা নামে এক ভূয়া ডাক্তার। এমবিবিএস ডিগ্রি না থাকলেও তিনি নামের আগে ‘ডাক্তার’ লিখেছেন আবার সকল রোগের চিকিৎসাও তিনি করে চলেছেন। তিনি প্রসৃতি-স্ত্রী ও শিশু রোগের অপচিকিৎসা দিয়ে অসংখ্য রোগীর কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অসংখ্য রোগী ।ব্যবস্থাপত্রে বড় বড় ডিগ্রি, এমবিবিএস পাস না করেও সকল রোগের চিকিৎসক।অথচ তারা পল্লী চিকিৎসক।এমবিবিএস চিকিৎসকের মতোই করছেন জটিল সব রোগের চিকিৎসা। ডিজিটাল ব্যানার ও চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে নিজের নামে ভিজিটিং কার্ড ও প্যাড ছাপিয়ে আইন অমান্য করছেন।নামের আগে পদবি লিখছেন ‘ডাক্তার’। তাদের ভুল চিকিৎসা, মাত্রাতিরিক্ত ওষুধের প্রেসক্রিপশনের কারণে হরহামেশাই মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ রোগীদের।ডাক্তার রূপধারী এই পল্লী চিকিৎসকদের ওপর প্রশাসনের নজর বা নিয়ন্ত্রণ কোনোটাই নেই। একারণে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন সেবা নিতে আসা গ্রামের অসংখ্য মানুষ।গ্রামাঞ্চলে চিকিৎসক সংকট থাকায় এবং মানুষের সচেতনতার অভাবকে পুঁজি করে বছরের পর রোগী দেখে যাচ্ছেন তারা। রোগমুক্তি তো দূরের কথা, এসব ভুয়া চিকিৎসকের ওষুধ খেয়ে নানান জটিলতায় ভুগছেন হাজারো রোগী। কিন্তু তার নামের সাথে আছে এম,সি,এস (ঢাকা) ও আর,এম,পি (ঢাকা এবং এল,এম এফ (কক্সবাজার) । বিএমডিসির নিয়ম অনুযায়ী এমবিবিএস এবং বিডিএস ছাড়া কেউ নামের আগে ডাক্তার লিখতে পারে না। ডাক্তার পরিচয়ে রোগীও দেখতে পারে না।এমবিবিএস–বিডিএস ডিগ্রিধারী ছাড়া অন্য কেউ ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না বলে হাইকোর্টের এক রায়ে বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, হোমিওপ্যাথি, ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক কর্মকর্তাদের নামের আগে ডাক্তার পদবি সংযোজনের অনুমতি দেওয়া বেআইনি।চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট