হাফিজুর শেখ যশোর
যশোর জেলা এল.পি গ্যাস ব্যাবসায়ীক কতৃক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত।
যশোর জেলা এল.পি গ্যাস ব্যাবসায়ীক কতৃক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন। তিনি বলেন যে, আপনারা বেশ কিছুদিন যাবৎ লক্ষা করছেন যে, সরকার কর্তৃক ঘোষিত ১,২০০/ (এক হাজার দুইশত) টাকায় খুচরা পর্যায়ে সব কোম্পানীর গ্যাস বিক্রয় করা সম্ভব হচ্ছে না। এই বিষয়টি নিয়ে যশোরের খুচরা গ্যাস ব্যবসায়ী ও গ্রাহকদের সাথে তর্ক-বিতর্ক বাক-বিতন্ডা হচ্ছে আবার কয়েকজন খুচরা গ্যাস ব্যবসায়ি ভোক্তা অধিার সংরক্ষণ কর্তৃক জরিমানার সম্মুখীন হয়েছেন, যে কারণে আমাদের প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরার জন্য আপনাদের আহবান করেছি। যশোরে বিক্রিত গ্যাসের কোম্পানী কর্তৃক নির্ধারিত এক্সপ্লান্ট মূল্য তালিকা নিচে দেওয়া হলো।
কোম্পানী কর্তৃক নির্ধারিত এক্সপ্লন্ট মূল্য
কোম্পানীর নাম মুল্য
যমুনা – ১১৮৫
বসুন্ধরা – ১১৮০
ওমেরা – ১১৮০
লাফস্ – ১১৭৫
বি.এম – ১১৯০
ফ্রেস – ১২০০
পেট্রোমেক্স – ১২১৫
টোটাল – ১১৫১
জি গ্যাস – ১২০০
সেনা গ্যাস – ১১৮০
দুবাই বাংলা – ১১৮০
বেক্সিমকো – ১১৯০
সংবাদ সম্মেলন থেকে আরো জানানো হয় যে,ট্রাকে খালি সিলিন্ডার উঠানো এবং ট্রাক থেকে ভরা গ্যাস নামাতে প্রায় ৫-৭ টাকা খরচ।হয়। বিভিন্ন খুচরা ব্যবসায়ীদের অর্ডার মোতাবেক ডিস্ট্রিবিউটরগণ তাদের নিজস্ব ছোট গাড়ীতে কর্মচারীর মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ করে দোকান হতে খালি সিলিন্ডার সংগ্রহ করে আবার ডিস্ট্রিবিউটরদের গোডাউনে ফিরিয়ে আনা পর্যন্ত প্রতি সিলিন্ডারে ২০-২২ টাকা খরচ হয়। এছাড়া একজন ডিস্ট্রিবিউটরের গোডাউন ভাড়া, কর্মচারীদের বেতন, ইলেকট্রিক বিল, বিস্ফোরক লাইসেন্স, ফায়ার লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন, ইনকাম ট্যাক্স ও ভ্যাট প্রদানে আরো সিলিন্ডার প্রতি ২০-২৪ টাকা খরচ হয় । তাহলে দেখা যায় একটি সিলিন্ডার ডিস্ট্রিবিউটর পয়েন্ট হতে খুচরা দোকান পর্যন্ত পৌঁছাতে প্রায় ৫০-৫৫ টাকা ব্যয় হয়, আবার একজন খুচরা গ্যাস ব্যবসায়ী যখন ঐ গ্যাস গ্রাহকের বাসায় মটর সাইকেল/বাই সাইকেল/রিক্সা/ভ্যান যোগে পৌঁছিয়ে দিয়ে গ্যাস নামিয়ে চুলা জ্বালিয়ে নিয়ে আসার জন্য গ্রাহকের বাড়ীর দূরত্ব ও বাড়ীর তলা ভেদে ৫০-৭০ টাকা খরচ হয় । আবার খুচরা ব্যবসায়ীর ঘর ভাড়া, কর্মচারীদের বেতন, ইলেকট্রিক বিল বিস্ফোরক লাইসেন্স, ফায়ার লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন, ইনকাম ট্যাঙ্ক ও ভ্যাট বাবদ প্রতি সিলিন্ডারে ৮-১০ টাকা খরচ হয় । মূলত উপরোক্ত কারণে সরকার কর্তৃক ঘোষিত মূল্য ১,২০০/= (এক হাজার দুইশত) টাকায় গ্যাস বিক্রি করা সম্ভবপর হয়ে উঠছে না। যার কারণে ভোক্তাদের সাথে। আমাদের ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হচ্ছে । তাই যশোরের প্রশাসন ও সাধারণ জনগনসহ সকলের কাছে আমাদের এই বার্তা পৌঁছে দিতে চাই যেন আর কোন তর্ক বিতর্ক না হয়
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যশোর শহরে গ্যাসের দোকানের লাইসেন্স আছে ৩০ টা, আর লাইসেন্স বিহীন আছে ২০০ উপরে। তিনি আরো বলেন যে, যদি কোন ব্যক্তি শ শরিরে এসে দোকান থেকে গ্যাস নেন ত্কে আমরা ১২০০ টাকায় গ্যাস দিবো। আর সর্বোচ্চ ১৩০০ টাকা রাখবো। এর বেশি যদি কোন দোকান্দার নেন তবে এই নাম্বারে ০১৭৪৮-৯৩০৯৫৪ যোগাযোগ করলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সাধারন সম্পাদক এ.কে.এম শামসুল কাদের
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট