৯ নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন সহ ৫ দফা দাবিতে সাংবাদিকদের রাস্তায় বসে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আপত্তিকর ধারা সংশোধন, সংবাদ মাধ্যমে ৯ম ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়নসহ পাঁচ দাবিতে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ করেছেন সাংবাদিকরা। দাবি আদায় না হলে রাস্তায় নামার ও আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
শনিবার (২২ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে একাংশ) আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, বর্তমানে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাংবাদিকের ওপর খড়গ হিসেবে ঝুলছে। যখনই কোনো রিপোর্ট কারও বিরুদ্ধে যায়, যখনই সাংবাদিকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো কিছু লিখেন, তখনই বিভিন্ন মহল থেকে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়। আমরা সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে বারবার কথা বলেছি। তাতে কোনো লাভ হয়নি।
তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে ৩০টি প্রতিষ্ঠানকে পরিকাঠামো ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু বলা হয়নি যে সাংবাদিকরা কোনো প্রতিবেদন করলে বা সেখানে গেলে কোনো হয়রানি হবে না।
ডিইউজে সভাপতি বলেন, সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ডের কথা বলা হয়েছে কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয়নি। আমাদের কোনো বেতন কাঠামো নেই। প্রিন্ট পত্রিকার যতটুকু আছে, অনলাইন বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সেটিও নেই। আমরা বারবার সে কথা বলে আসছি।
সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, আমাদের আন্দোলনে একবার হেলমেট বাহিনী হামলা করেছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন বিচার হবে কিন্তু আজও বিচার হয়নি। সাংবাদিকরা এই নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বাজারে এক প্রকার মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদের দেখার কেউ নেই।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া সাংবাদিকরা বলেন, একজন সাংবাদিক সকাল ৮টায় বাসা থেকে বের হয়ে রাত ১১টায় বাসায় ফেরেন। অনেক প্রতিষ্ঠানের কথা আমরা শুনতে পাই, তারা বলেন সাংবাদিকদের ৮ ঘণ্টা বলতে কোনো ডিউটি নেই। সাংবাদিকদের ডিউটি সারা দিন। সাংবাদিকদের অধিকারই যদি প্রতিষ্ঠা না হয়, তাহলে গণমাধ্যম আইন দিয়ে আমাদের কি হবে। মালিকপক্ষের সুবিধার জন্য কেন আইন করা হবে। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কথা বলতে হবে। সাংবাদিকরা কি শ্রম আইনেও পড়ে না? তাহলে কেন সাংবাদিকদের এভাবে খাটানো হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠান ঠিক মতো বেতন দিচ্ছে না। আমাদের কোনো বেতন কাঠামো নেই। ৮ম, ৯ম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন ঠেকে আছে কয়েক বছর ধরেই। কিন্তু বাস্তবায়ন হচ্ছে না। অবিলম্বে আমাদের দাবিগুলো মেনে নিতে হবে। না হলে রাস্তায় নেমে আমরা দাবি আদায় করে নেব।
সাংবাদিকদের অন্য দাবিগুলো হলোÍ
১. অবিলম্বে সাংবাদিকদের নিয়মিত বেতন দিতে হবে। তা না হলে যারা বেতন দিচ্ছে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হবে।
২. সাংবাদিকদের ওপর হামলা-মামলা বন্ধ করতে হবে।
৩. সচিবালয়ে পেশাদার সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড কমানোর সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।
৪. গণমাধ্যমের সাপ্তাহিক ছুটি দুদিন করতে হবে।
ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে সাংগঠনিক সম্পাদক জিহাদুর রহমান জিহাদের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, সহ সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, দপ্তর সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান, আশরাফুল ইসলাম, তপন কুমার বিশ্বাস, মিজানুর রহমান, বায়েজিদ মুন্সি, মুনসুর হোসেন, আসাদুজ্জামান আসাদ, শিবলী নোমানী প্রমুখ
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট