ঘূর্ণিঝড়-দুর্যোগের সুন্নত আমল ও দোয়া
ঘূর্ণিঝড়-দুর্যোগের সুন্নত আমল ও দোয়া
বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের কাছাকাছি অবস্থান করছে ঘূণিঝড়। উপকূলে এ ঘূণিঝড় আঘাত করলে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির হবে। হবে জলোচ্ছ্বাসও। প্রাকৃতিক এ মহাবিপর্যয়ে ইতিমধ্যে দেশব্যাপী বৃষ্টি ও ঝড় শুরু হয়েছে। নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটে চলেছেন সমুদ্র উপকূলে বসবাসকারীরা। বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ-দুর্ঘটনা আল্লাহ তাআলার ইচ্ছারই বহিঃপ্রকাশ। এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন-
اِنَّ فِیۡ خَلۡقِ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ وَ اخۡتِلَافِ الَّیۡلِ وَ النَّهَارِ وَ الۡفُلۡکِ الَّتِیۡ تَجۡرِیۡ فِی الۡبَحۡرِ بِمَا یَنۡفَعُ النَّاسَ وَ مَاۤ اَنۡزَلَ اللّٰهُ مِنَ السَّمَآءِ مِنۡ مَّآءٍ فَاَحۡیَا بِهِ الۡاَرۡضَ بَعۡدَ مَوۡتِهَا وَ بَثَّ فِیۡهَا مِنۡ کُلِّ دَآبَّۃٍ ۪ وَّ تَصۡرِیۡفِ الرِّیٰحِ وَ السَّحَابِ الۡمُسَخَّرِ بَیۡنَ السَّمَآءِ وَ الۡاَرۡضِ لَاٰیٰتٍ لِّقَوۡمٍ یَّعۡقِلُوۡنَ
‘নিশ্চয়ই আকাশসমূহ ও পৃথিবীর সৃষ্টির মধ্যে, রাত ও দিনের বিবর্তনের মধ্যে, লোকের উপকারী দ্রব্যাদিসহ সমুদ্রে চলাচলকারী জলযানের মধ্যে এবং আকাশ হতে আল্লাহর বর্ষিত সেই পানির মধ্যে যদ্বারা তিনি পৃথিবীকে- মরে যাওয়ার পর আবার জীবিত করেন এবং তাতে সকল প্রকার জীব-জন্তুর বিস্তারণে এবং বাতাসের গতি পরিবর্তনের মধ্যে এবং আকাশ ও ভূমন্ডলের মধ্যস্থলে নিয়ন্ত্রিত মেঘপুঞ্জের মধ্যে বিবেকসম্পন্ন লোকেদের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১৬৪)
তবে মানুষের কৃতকর্মের গুনাহের কারণেই এ ধরনের বিপর্যয় ঘটে থাকে। অন্যায়-অনাচার বেড়ে গেলেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা বেশি দেখা দেয়। আল্লাহ তাআলা আরও বলেন-
ظَهَرَ الۡفَسَادُ فِی الۡبَرِّ وَ الۡبَحۡرِ بِمَا کَسَبَتۡ اَیۡدِی النَّاسِ لِیُذِیۡقَهُمۡ بَعۡضَ الَّذِیۡ عَمِلُوۡا لَعَلَّهُمۡ یَرۡجِعُوۡنَ
‘মানুষের কৃতকর্মের কারণে জলে স্থলে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে যাতে তিনি তাদেরকে তাদের কোনো কোনো কাজের শাস্তি আস্বাদন করান, যাতে তারা (অসৎ পথ হতে) ফিরে আসে।’ (সুরা রুম : আয়াত ৪১)
হাদিসের বিভিন্ন বর্ণনায় নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রাকৃতিক দুর্যোগের অনেক কারণ উল্লেখ করেছেন। তিনি নিজেও উম্মতের ওপর এসব দুর্যোগের ব্যাপারে শঙ্কিত ছিলেন। এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্ত থাকার জন্য এবং এর ধ্বংসযজ্ঞ থেকে বেঁচে থাকার জন্য তিনি আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন। উম্মতকে উপদেশ দিয়েছেন।
প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখলে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিচলিত হয়ে পড়তেন। আল্লাহর শাস্তির ভয় করতেন। বেশি বেশি তওবা-ইসতেগফার করতেন এবং সাহাবাদের তা করার নির্দেশ দিতেন। ঝড়-তুফান শুরু হলে তিনি মসজিদে চলে যেতেন। নফল নামাজে দাঁড়িয়ে যেতেন। আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতেন
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট