ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর রেশ কাটতে না কাটতে আবারও ঘূূর্ণিঝড়ের দুঃসংবাদ দিল আবহাওয়া অধিদফতর। ডিসেম্বরে আবারও নতুন ঘূর্ণিঝড় হওয়ার শঙ্কা আছে। এক্ষেত্রে সবাইকে সর্তক ও প্রস্তুত থাকতে হবে।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আগারগাঁওয়ে আবহাওয়া অধিদফতরে সিত্রাং পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসে এ দুঃসংবাদ দেন আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান।
ঘূূর্ণিঝড় সিত্রাং প্রসঙ্গে আবদুল মান্নান বলেন, স্থল ও জলসীমা মিলিয়ে বাংলাদেশে মোট ১৫ ঘণ্টা অবস্থান করে সিত্রাং। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ উপকূলীয় জেলাসহ দেশের আবহাওয়া পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হবে। বরিশাল বিভাগে সর্বোচ্চ ৩২৪ মিলিমিটার আর ঢাকায় ২৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টিহীন ছিল দিনাজপুর ও পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়া।
এর আগে সোমবার (২৪ অক্টোবর) মধ্যরাতে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে (১২ নম্বর) জানানো হয়, উপকূল অতিক্রম করে দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ধীরে ধীরে আরও দুর্বল হয়ে পড়ছে ঘূর্ণিঝড়টি। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) এটি গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে বলে জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপকূল অতিক্রম করে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্বদিকে অতিদ্রুত অগ্রসর হয়ে সোমবার মধ্যরাতে ভোলার কাছ দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করেছে। এ সময় ঘূর্ণিঝড়টি বৃষ্টি ঝরিয়ে দ্রুত দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে এবং বর্তমানে স্থল নিম্নচাপ আকারে ঢাকা-কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং এর পাশের এলাকায় অবস্থান করছে। এর ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে।এতে আরও বলা হয়, মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদসংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট