মোঃমাহাফুজুর রহমান সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার।
নড়ইলে প্রবাসী স্বামী কে তালাক দেওয়ায় স্ত্রী কে বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ দেয়ার অভিযোগ।
লোহাগড়ায় সৌদি প্রবাসী, স্ত্রীর খোঁজ খবর না নেওয়ায় স্ত্রী_স্বামী কে ডিফোস, অতঃপর অন্যত্র বিয়ে।
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা আদর্শ পাড়ায় আলমগীর হোসেন নামের একজন সৌদি প্রবাসী তার স্ত্রীও সন্তান কে নিয়ে বসবাস কোরছিলেন।
তিনি দীর্ঘ ১৬/১৭ বছর সৌদি আরবে প্রবাস জীবন কাটান, এবং ৫/৬ বছর প্রবাসে থাকার পর দেশে এসে লোহাগড়া উপজেলার চালিঘাট গ্ৰামের রোমানা নামের একটি মেয়ে কে বিবাহ করে, বিবাহের কয়এক বছর পর একটি পূত্র সন্তান জন্ম গ্রহণ করে,ওই পূত্র সন্তানের নাম আনাস, বর্তমান বয়স (১০) বছর।
রোমানা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার সামাজিক কায়দায় আলমগীর নামের ওই সৌদি প্রবাসীর সাথে বিবাহ হয়, এবং প্রথম দিকে সংসার জীবন ভালোই কেটেছিল। কিন্তু আমার ছেলে গর্ভে আসার পর থেকে আমার স্বামী আলমগীর হোসেন আদম ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ে। কিছু কিছু লোক বিদেশে নিয়েছে, এবং বেশিরভাগ লোক বিদেশে নিতে পারে নাই। তার পর থেকে আমার সংসারে অ শান্তী। আলমগীর হোসেন,রোমানার নামে ৫/৬ টা এনজিও থেকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার বেশি লোন করে রেখে যায়। এবং ৭ বছর স্ত্রী ও ছেলের কোন প্রকার খোঁজ খবর ও ভরন পোষন এবং এনজিও র লোনের টাকা দেন নাই।
রোমানা বেগম বলেন,আমি তো একজন রক্তে মাংসে গড়া মানুষ, যে স্বামীর সাথে ৭ বছর দেখা সাক্ষাৎ নাই ,ভরন পোষন দেয় না, সে কেমন স্বামী ? তাই আমি গত ৫ মাষ পূর্বে তাকে ডিফোস দিয়ে একটি বিবাহ করে জীবন যাপন কোরছি। আমি আলমগীর হোসেন এর একটি টাকার ও কোনো প্রকার মালা মাল, দ্রব্য সামগ্রী নিয়ে আসি নাই। বরং আলমগীর হোসেন এর এনজিও র লোনের ১০ লক্ষ টাকা আমার বর্তমান স্বামীর কাছ থেকে নিয়ে শোধ কোরে আসছি, এখনো কিছু কিছু এনজিও র লোনের টাকা চলমান আছে।
রোমানা বেগম আরো বলেন, আমি আমার ছেলে আনাস কে নিয়ে বর্তমান স্বামীর কাছে ভালো ই আছি। ইতি মধ্যে বিদেশ থেকে আলমগীর হোসেন দেশে এসে, আমার সংসার ভাংগার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। আমার ভালো থাকাটা আলমগীর হোসেন চায়না। তার ই ধারাবাহিকতায়, আমার ও আমার স্বামীর নামে লোহাগড়া থানায় জিডি ও অভিযোগ করেছে, আমার ও আমার স্বামীর ছবি সোসাল মিডিয়ায় প্রচার করেছে, আমাকে ও আমার স্বামী কে হেয়প্রতিপন্ন করছে ।
আমি আজ ২৫ অক্টোবর ২০২২ তারিখ লোহাগড়া থানায় হাজির হইয়া আলমগীর হোসেন এর নামে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
রোমানা বেগম বলেন, আমি পরিস্কার ভাবে বলছি, আমি পূর্বের স্বামী আলমগীর হোসেন কে ডিফোস দিয়ে শরিয়ত মোতাবেক অন্যত্র বিবাহ করেছি। এবং সংসার কোরছি। আমাকে ও আমার স্বামী কে যাহাতে আলমগীর হোসেন হয়রানি না করে, তার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট