🌺কবিতা সাহিত্যো ঘর🌺 ক্ষমা করে দিও 🌺

হোম

সাহিত্যে কবিতা ঘর

🌺কবিতা সাহিত্যো ঘর🌺 ক্ষমা করে দিও 🌺

শাহিন আলম স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: সোমবার, ৭ নভেম্বর, ২০২২
১১৭ বার পড়া হয়েছে

ক্ষমা করে দিও লেখক কবিঃ শাহজাহান কবীর

কবিতা,ক্ষমা করে দিও
মেঘমুক্ত আকাশের চাঁদ দেখে তুমি উচ্ছ্বসিত হতে,খোলা ছাদে গা এলিয়ে বসতে আমার গায়ে।
শ্বেত পেয়ালায় কৃষ্ণ কফিতে চুমুক দিতে দিতে জোছনা প্লাবিত চিত্ত-তনুতে খুশির বন্যা নামাতে।
আমাকে বলতে, জানো আমার এ জীবনে তোমার সাথে এ হৃদ্যতা শ্রেষ্ঠতম সুখকর মুহূর্ত।
এ অম্লান স্মৃতি আমার অস্তিত্বে মিশে থাকবে- এ আমি রোমন্থন করবো আজীবন, এ যে ভুলবার নয়।
পৃথিবীর কোনো রুপ-রস,গন্ধ, কারুর পুরুষত্ব,পৌরুষত্ব, লোভ-লালসা আমায়
কখনো তোমাকে ভুলিয়ে দিতে পারবে না।
খু-উ-ব গর্বিত হয়ে বুকের ছাতিখানি
ফুলে উঠেছিলো হিমালয়ের মতো।
তোমার আয়ত চোখ, ঠোঁট বাকানো হাসিতে বারবার মরেছি পুরুষ হয়ে।
রাজনীতিকের মতো তোমায় ফাঁকি দিতে
পারিনি।ভোলাতে পারিনি কাক হয়ে ময়ূরের পেখমে।
দূর্বাঘাস হতে চেয়েছি তোমার হৃদয়ে, সবুজাভ ভূমি গড়ে তোমার অবুঝ মনে
একমাত্র প্রেমিক হতে চেয়েছি।
প্রজাতির মতো আলতো করে রাখতে চেয়েছি আমার হৃদয় ঘরে। যদিও সাধ্য নেই আমার তবু্ও স্বপ্ন বুনি অ্যাকুরিয়ামে
শৌখিন জলচর মাছ হবো তোমার সাথে।
কি লোভাতুর মন আমার!!
নদী, সাগর, সরোবর,বৃষ্টি কিংবা ঝলমলে রোদ্দুরে অহেতুক তোমার সাথে চলা, কথা বলা, মান-অভিমান কি যে সুখ ছিল!! গাঁয়ের ভাঙা বাড়িতে কালবোশেখি মাস হঠাৎ ঝড়োমেঘ অন্ধকারে তুমি আমি পাশাপাশি, তুমি আমার হাত ধরে থাকতে
পলাতকা হরিণীর মতো, অবুজ শিশুর মতো তুমি আরো কাছে এসে মিশে যেতে চাইতে। মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ চমকানিতে তোমায় বেশ লাগছিলো, মনে মনে ভাবতাম তুমি শুধুই আমার। সরল ভাবনা
সহজ মনে।জীবন আর জীবীকা নিয়ে আমি খুব বেশি ভাবি না এ আমার উদাসীনতা। তুমি কিন্তু ঠিক এর বিপরীতে। বিত্তবৈভব আর শারীরিক সৌন্দর্যের তৃষ্ণা তোমায় বিতাড়িত করে সর্বদা। তাই তো কোনো কিছুতেই বা কারো কাছেই নিজেকে সুখী মনে হয় না তোমার। আরো বেশি, আরো বেশি ডিজার্ভ করো তুমি।তোমার চিন্তাভাবনায় তুমি-ই সেরা লাবন্যময়ী- লাস্যময়ী সে অহংবোধ তোমায় ভাসিয়ে নিয়ে যায় ঝরনার উচ্ছল জলধারায়…
আনন্দ অবগাহনে তুমি উদ্বেলিত,কেউ তোমার জন্য দুঃখ পেলে, মূর্ছা গেলে তাতে তোমার কিছু আসে যায় না। এমন যেন না হয় ফুরিয়ে যাওয়া অপরাহ্নের মতো, নিকষ কালো অন্ধকার বা অগ্নিতপ্ত অনুশোচনা ঘিরে ধরে। কারো বোবাকান্নার কারণ হওয়াতেই বুঝি তুমি সুখ খুঁজে পাও। কিন্তু এটা ভুলে গেলে কি চলে যে, পূর্ণিমা আর অমাবস্যা পাশাপাশি রয়েছে। শোকাচ্ছন্ন চোখেমুখেও একদিন হাসিফুটে।আমার সময়টা এখন ধুসর গোধূলীর মতো অন্ধকার আরো ঘন হবে হয়তো। ধোঁয়ার কুন্ডলি এখন আমার চারপাশে তাই শ্বাসরুদ্ধকর সময় পেরিয়ে যাচ্ছি এ -ও হয়তো সহ্য হবে কিন্তু তুমি যে বিষে জর্জরিত করেছো তা আমি সইতে পারছি না।ফ্যাকাশে হয়েছে আমার রঙিন জীবন্ত স্বপ্ন। তৃণহীন মাঠের মতো এখন আমি চৈত্রের দাবদাহে পুড়ছি।আমার শরীর-মন পোড়া গন্ধে পাছে তোমার শ্বাসপ্রশ্বাসে কষ্ট হয় তাই তোমার থেকে দূরে বহু দূরে সরে যাচ্ছি। তুমি খু-উ-ব ভালো থেকো।তুমি ভুল করে যতোটুকু স্থান আমায় দিয়েছিলে, যতোটা সময় দিয়েছিলে, সে সময়টুকু তোমার জীবনের নষ্ট সময়, না জানি তা তোমাকে এখন কতোটা কষ্ট দিচ্ছে। সে সময় ফিরিয়ে দেবার, মূল্য দেবার বা ক্ষতি পূরণ দেবার কোন ধন আমার মতো নিঃস্বের কাছে নেই , তাই নতজানু হয়ে হাত জোড় করছি আমায় ক্ষমা করে দিও।
পৃথিবীর সব ধরনের সুখ তুমি যেন আস্বাদন করতে পারো এ-ই কামনায়…