এস এম আকাশ, চলনবিল প্রতিনিধিঃ
অসহায় পরিবারটিকে দেখার কেউ নেই”
পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার ফৈলজানা ইউনিয়নের দিয়াড়পাড়া
পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার ফৈলজানা ইউনিয়নের দিয়াড়পাড়া গ্রামের মৃত লহাই প্রামানিক এর জৈষ্ঠ কন্যা স্বামী পরিত্যাক্তা মোছাঃ
সেলিনা খাতুন(৪৫) কে দেখার কেউ নেই!
মোছাঃ সেলিনা খাতুন বিগত দশ বছর পুর্বে স্বামী পরিত্যাক্তা হয়ে মানসিক ভারসাম্য হীন হয়ে পড়েন।
দুই সন্তানের জননী হওয়ায় ও মানসিক ভারসাম্য হীন হয়ে পড়ার কারণে দ্বিতীয় দ্বার গ্রহন করেননি। তার একমাত্র কন্যা সন্তান মোছাঃ পাখি খাতুনও (১৮) একজন মানসিক ভারসাম্যহীন রুগী।
একমাত্র ছেলে সন্তান মোঃ সোহেল রানা (১৬)
একজন শিশু শ্রমিক হিসেবে বিভিন্ন জনের বাড়ীতে কাজ করে। কোন দিন কাজ পায় কোন দিন কাজ পায়না। সোহেল রানার শিশু শ্রমের বিনিময়ে অর্জিত যে পারিশ্রমিক পায় তা দিয়ে
প্রতিবন্ধী মা ও বোনের ঠিকমত ঔষধই কিনতে পারেনা। জায়গা জমি না থাকায় সেলিনা খাতুন পিতৃগৃহে বসবাস করেন। বিগত তিন বছর পুর্বে সেলিনা খাতুন এর পিতা মারা যান।
এক মাত্র ভাই ছিলো যে কিনা বিপদে-আপদে পাশে দাড়াবে সেই ভাইটিও পিতা মারা যাওয়ার তিন দিন পর মানসিক ভারসাম্য হীন হয়ে নিখোজ হয়ে যান।
শেষ সম্বল মা, তিনিও শোকাচ্ছন্ন হয়ে অন্ধ হয়ে গেছেন।
সরকারী কোন পৃষ্ঠপোষকতার মুখ দেখাতে দুরে থাক কেউ নুন্যতম মৌখিক সহানুভূতিও দেখায় না। বিগত চেয়ারম্যান মহোদয় জনাব মোঃ হানিফ উদ্দিন খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর আওতায় হতদরিদ্রদের দশ টাকা কেজি চালের কার্ড করে দিলেও সেলিনা খাতুন এর পিতা মারা যাওয়ার পরে সেই কার্ডটিও আর তাদের ভাগ্যে থাকেনি।
বর্তমান সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি চলমান থাকার পরেও এই হত দরিদ্র পরিবারটি কোন সরকারী বা স্থানীয় পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছেনা।
এলাকার প্রভাবশালী মহলের কাছে ধর্ণা দেওয়ার মত কোন লোক নেই বা জনপ্রতিনিধিদের কাছে সহযোগিতা পাবে এ মন আশা আকাঙ্খাও মরে গেছে।
গ্রিন পিস বাংলা(মানবাধিকার সংগঠন) এর পাবনা জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম মনিরুজ্জামান আকাশ অসহায় পরিবারটির খোঁজ পেয়ে দেখা করেন ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেন
এবং অসহায় এ পরিবারটির পুনর্বাসনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহোদয় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ সকলের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন!
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট