সবুর খান নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
সুবর্ণচরে জিপির নামে চাঁদাবাজির মূল হোতা, কে এই রাজু চৌধুরী। নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলার বিভিন্ন সড়কে বাড়তি ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রীদের। চালকদের অভিযোগ, জিপির নামে স্ট্যান্ডের চাঁদা আদায় করায় বাড়তি ভাড়া নিচ্ছেন তারা। এসব চাঁদাবাজী বন্ধের দাবী জানান সুবর্ণচরের সচেতন মহল।
চালকগণ জানান, হাতিয়া চেয়ারম্যান ঘাট, আলী বাজার,ভূঁইয়ার হাট,খাসের হাটের রাস্তার মাথা ও থানার হাট স্ট্যান্ডে জিপির টাকা দিতে হয়। চালকদেরও বিপদে আপদে থাকার কথা থাকলেও তার ছিটেফোটা পাচ্ছেনা চালকগণ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক জানান, সুবর্ণচরের বিভিন্ন স্ট্যান্ডেই প্রতিদিন জিপি দিতে হয় প্রায় ২০০থেকে ২৫০ টাকা। তাই তারাও বিপাকে রয়েছেন। কারণ, যাত্রী থাকলেও জিপির টাকা দিতে হয়, আবার না থাকলেও দিতে হয়।
যাত্রীরা জানিয়েছেন, কয়েক বছর আগেও সোনাপুর থেকে হারিছ চৌধুরী বাজার জনপ্রতি সর্বোচ্চ ভাড়া ছিল ৩০ টাকা। তারপর গ্যাসের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে ১০ টাকা বাড়িয়ে ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এখন জিপির নামে চাঁদার জন্য ভাড়া বাড়িয়ে ৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। যাত্রীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয় ৪০ টাকার স্থলে অতিরিক্তি ১০ টাকা। এখন যাত্রীপ্রতি ভাড়া দিতে হয় ৫০ টাকা। এতে তীব্র অসন্তোষ থাকলেও অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই যাতায়াত করছেন যাত্রীরা। কিন্তু তা আরও অসহনীয় পর্যায়ে ঠেকে সন্ধ্যার পর। তখন ভাড়া হাঁকানো হয় ৮০ টাকা। অন্যদিকে জিপি আদায়কারীদেরও গাড়ি প্রতি দিতে হয় ৫০ টাকা। এ নিয়ে প্রায় সময় যাত্রীদের সঙ্গে চালকদের মারামারির ঘটনাও ঘটে। অনেকটা বাধ্য হয়েই বর্তমানে এই রাস্তা দিয়ে চলতে হয় যাত্রীদের।
জানাযায়, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন চৌধুরী (বাহার) এর ভাই দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী রাজু ওরফে বাবুল চৌধুরী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে লোক দিয়ে জিপির নামে দীর্ঘদিন যাবত চাঁদাবাজি করে আসছে, তার এমন কর্মকান্ডে অতিষ্ট অটো চালকগণ, দলীয় কোন পদ-পদবী না থাকলেও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের নাম ভাঙ্গিয়ে ও আটকপালিয়াদের বাড়ির প্রভাব দেখিয়ে এসব চাঁদাবাজি করে বেড়াচ্ছেন তিনি। প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পায়না।
সুবর্ণচরের সড়কে চলাচলকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক, অটোরিকশা থেকে এককালীন মোটা অঙ্কের ভর্তি ফি এবং প্রতিদিন নির্ধারিত হারে চাঁদা তুলছেন, বাবুল চৌধুরীর লোকজন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অটোরিকশাচালক বলেন, আমরা অটোরিকশাচালকরা প্রত্যেকেই একেকটি দরিদ্র পরিবারের প্রধান উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে পরিবারের মুখে খাবার তুলে দিই। সেখানে ভাগ বসাচ্ছে বাবুল চৌধুরী নামের স্থানীয় প্রভাবশালী এক চাঁদাবাজ।
সূত্রে জানা যায় দীর্ঘ বছর বাবুল চৌধুরী এলাকার বাহিরে ছিলেন, প্রতারণা, ঠকবাজি ছিলো তার পেশা একাধিক ব্যাক্তি থেকে জমি বিক্রয়, হাওলাতসহ নানা রকম প্রতারণা করে গত ইউপি নির্বাচনে চরজুবলী ইউনিযনের ভোটে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক চরজুবিলী নৌকা প্রতিক নিয়ে চেয়ারম্যান প্রাথী মোঃ হানিফের ভোট করার জন্য এলাকায় প্রবেশ করেন বাবুল চৌধুরী, ভোটে নৌকা প্রতিক নিয়ে হানিফ চৌধুরীর ভরাডুবি হলে হতাশ বাবুল চৌধূরী, মুখোশ পাল্টে চরজুবলী চেয়ারম্যান সাইফুল্যাহ খসরুর কাঁদে ভর করে চাঁদাবাজির টিকেট পেয়ে যান বাবুল চৌধুরী , স্ট্যান্ড কমিটি করেন চেয়ারম্যান সাইফুল্যাহ খসরু সে কমিটির সভাপতি বাবুল চৌধুরী, একদিকে নিজের ভাই উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অন্যদিকে নব নির্বাচিত সাইফুল্যাহ খসরুর ধাপট সব মিলিয়ে বাবুল এখন লক্ষ টাকা কামিয়ে ছুঁতে চাইছেন কোটির ঘর ।
বিশ্বস্থ সূত্রে জানা যায়, চাঁদার একটা অংশ যায় থানায়, আরেকটি অংশ পায় সরকার দলীয় পদধারী কয়েকজন নেতা।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট