“কালো চশমা”
– আগমনী চক্রবর্তী
=============================
কষ্ট নিঃসৃত অন্তরের প্রতীকী চিহ্ন,
বেদনা কিংবা আনন্দ অশ্রু।
লোকচক্ষুর আড়ালে,
কালো চশমার অন্তরালে যা নির্গত হয়।
থমকে যাওয়া চেতনা সচকিত হয়, যখন
লোনা জল চোখ বেয়ে চিবুক স্পর্শ করে।
সুখ স্মৃতি, কষ্টোপার্জিত স্বপ্ন থেকে বাস্তব,
সব একাকার রঙিন কালো চশমায়।
ফেলে আসা মধুর অথবা দুঃখ বেদনা
দোলা দেয়,ঝিরি ঝিরি বাতাসের প্রেমালাপে।
নস্টালজিয়া অনুভবে মিশে জীবনের
ওলটপালট ডায়রির পাতা বুলোতে থাকে।
চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়;
জীবন্ত,জ্বলন্ত বাস্তবতা। কিন্তু
আশ্বাস একটাই, কালো চশমা।
অনুভূতির বেড়াজালে কান্না, হাসির বন্যায়
মনে হয় এই বুঝি কারো দৃষ্টিতে পড়লাম ।
বাস্তবতা এই যে,আমি সব দেখলেও কালো চশমায়
আমার চোখ পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না কেউ।
কষ্ট জরাজীর্ণ আমি কালো চশমায় ঠিক আগের মতই।
যদিও বা কখনো চশমা উচুঁ করার ভঙ্গিতে
টিস্যু পেপারের অবাধ ব্যাবহার করি আমরা।
ওটা আসলে যতই সহজ হোক না কেনো,
বেদনার পাহাড়, হৃদয়ের চূড়ায় ধিকি ধিকি জ্বলে।
কালো চশমায় বেদনার রঙ পাল্টায়,
দূর থেকেও কাছের মানুষ গুলোকে খুঁজে নেয়।
তারপরও প্রিয়জনের অপ্রত্যাশিত কষ্ট দেওয়ার
দহন যন্ত্রণা মেনে নেয়া যায়না কোনোমতে।
তাইতো চশমার নিকোষ কালো কাঁচটিকে
মুছে মুছে চক চকে বানানোর বাতুলতা করি।
ভুলে যাই নিমিষে,
কালো তো আমার আবৃত অতীত;
ধেঁয়ে চলা বর্তমানের প্রস্তুতি,
ভবিষ্যতের ফিকে স্বপ্নগুলোকে
বাস্তবে আনার নিরলস কৌশল!!!
___________________________
— আগমনী চক্রবর্তী
সহকারী অধ্যাপক ( বাংলা),
চাটমোহর মহিলা ডিগ্রি কলেজ,
চাটমোহর, পাবনা।
(সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত)
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট