পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার ৯নং ফৈলজানা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কচুগাড়ী গ্রামটি একটি অবহেলিত গ্রাম।
সরকার পাড়া প্রাইমারী স্কুল রোডের এই ব্রীজটি ২০১০ সালে পানাসি প্রকল্পের অধীনে কচুগাড়ী কিয়াম উদ্দিন জোলার উপর প্রায় দুই লক্ষ টাকা ব্যায়ে নির্মিত হয়।
নির্মান কালীন সময়ে ব্রীজের উভয় পাশে মাটি দিয়ে চলাচলের উপযোগী করা হলেও তা পরবর্তী বর্ষা মৌসুমে পানিতে ধুয়ে যায় উভয় পাশের মাটি।
মাঝে প্রায় এক যুগ পার হতে চলেছে, ব্রীজের উভয় পাশে মাটি নেই।
এই ব্রীজ পার হয়ে কোমলমতি শিশুরা কচুগাড়ী প্রাইমারী স্কুলে যাতায়াত করে।
অনেক কষ্ট করে ছোট ছোট বাচ্চাদের এই ব্রীজ পার হতে হয়।
এলাকার জন প্রতিনিধিরা দেখেও যেনো নিরব!
অথচ দেশে উন্নয়ন চলছে দৃশ্যমান, তথাপিও কেনো এই ছোট ব্রীজের দুই পাশে মাটি দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহন করা হচ্ছে না?
জনপ্রতিনিধিরা কোন অদৃশ্য কারনেই কি উদ্যোগ গ্রহন করছেন না!
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ হাফিজুর রহমান এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মিনহাজুল ইসলাম নান্নু বিষয় দেখে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
কচুগাড়ী প্রাইমারী স্কুলে যাতায়াত কারী ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক গন অবিলম্বে উক্ত ব্রীজের উভয় পাশে মাটি ভরাটের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য জনপ্রতিনিধিদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
রাস্তা ঘাটের কোন উন্নয়ন সাধিত হয়নি তুলনা মুলক ভাবে!
বিগত ২০১৮ সালে কচুগাড়ী কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশ থেকে পাগলীর মোড় হতে ১০০মিটার রাস্তায় ইট পড়লেও আর কোনরুপ দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়নি।
অথচ দেশে বিভিন্ন মেগা প্রকল্প গৃহীত হলেও এই গ্রামে কোন জনপ্রতিনিধির সুদৃষ্টি পড়েনি।
কেনো?
কোন কারনে এই গ্রামটি সকল পর্যায়ে অবহেলিত তা সাধারণ জনগনের বোধগম্য নয়!
কচুগাড়ী আনন্দ মোড় হতে কচুগাড়ী প্রাইমারী স্কুলে যাতায়াত করার প্রধান রাস্তা যে সড়কটি, সে রাস্তা দিয়ে কোমল মতি কঁচিকাঁচা ছাত্র ছাত্রী স্কুলে যেতে ভোগান্তির শেষ নেই।
এই সড়ক দিয়ে অসংখ্য মানুষ নাগরিক সেবা নেওয়ার জন্য জেলা সদর,উপজেলা সদর, ইউনিয়ন পরিষদে যাতায়াত করে থাকে।
অথচ এই রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী। এই
রাস্তায় জৈষ্ঠ মাসেও বাঁশের মাচায় চলাচল করতে হয়। ফৈলজানা ইউনিয়ন পরিষদের এক নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার
ইউপি সদস্য মোঃ মিনহাজুল ইসলাম নান্নু কে উক্ত রাস্তার ভোগান্তির বিষয়টি বলা হলে, তিনি বলেন বিগত মেয়াদের চেয়ারম্যান মোঃ হানিফ উদ্দিন (সাবেক চেয়ারম্যান) এর আমলে গৃহীত প্রকল্প অনুসারে কোন কাজের অগ্রগতি হয়নি।
বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ হাফিজুর রহমান হাফিজ এর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে, তিনি বলেন
আমি দায়িত্ব গ্রহনের সবেমাত্র দশ মাশ।
আমি এমপি মহোদয়ের সাথে আলাপ করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
কচুগাড়ী পাগলী মোড়/মসজিদ মোড় হতে ফৈলজানা বাজারে, ফৈলজানা উচ্চ বিদ্যালয় ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে যেতে ও নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হতে এই রাস্তাটির ভুমিকা দায়ী।
এলাকার সাধারণ মানুষ ও পাবনা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস এম মনিরুজ্জামান আকাশ এর অনুরোধে মিনহাজুল ইসলাম নান্নু নিজস্ব তহবিলে বাঁশের মাচার ব্যবস্থা করে দেন।
এলাকার সতচন মহল ও সাধারণ জনগন সংশ্লিষ্ট রাস্তার বিষয়টি আন্তরিকতার সঙ্গে বিবেচনা করে তড়িৎ উদ্যোগ গ্রহন করার অনুরোধ করেছেন।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট