অভয়নগরে কুটিরশিল্প কারখানায় দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত অসহায় কাঠমিস্ত্রী।
যশোরের অভয়নগর উপজেলায় শ্রীধরপুর ইউনিয়নের পুড়াখালী গ্রামের মৃতঃ মোজাম্মেলের ছেলে, মিজানুর রহমানের ফিড়ার আঘাত লেগে তিনটি দাত পড়ে গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে( ১৫ নভেম্বর মঙ্গলবার) সকালের দিকে। মিজানুর রহমান সে একজন কাঠমিস্ত্রী, তার নিজস্ব কুটিরশিল্প কারখানা রয়েছে নিজ বাড়িতেই। প্রতিদিনের মতো সে কারখানার মটরের সঙ্গে যথাস্থানে ফিড়া তৈরির জন্য কাঠ লাগিয়ে কাজ শুরু করে। কাঠ ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ ফিড়ার কাঠটি ফেটে দূই ভাগ হয়ে দূরান্ত গতিতে ছুটে এসে মিজানূরের মুখে সজোরে আঘাত হানে। সঙ্গে সঙ্গে সে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরিবারের লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থায় অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দেন। যশোরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে অপারেশন করে তার ৩টি দাত ফেলে দিয়েছে এবং আরও ২টি অকেজো অবস্থায় কোনো রকম বাধিয়ে রেখেছেন বলে ডাক্তার জানিয়েছেন। মিজানুরের ছেলে জানায় মুখে কিছুই খেতে পারছে না।দুই মাড়ি একত্রিত করে সেলাই দিয়ে রেখেছে যেহেতু মাড়ি ভেঙে গেছে। তাই নলের মাধ্যমে তরল খাবার খাওয়াতে হছে। এখন সে কথা বলাতে পারছে না। কথা বলার ব্যবস্থাও নেই। যেহেতু দুই মাড়ি একত্রে সেলাই করে রাখা হয়েছে। সে মর্মান্তিকভাবে জখম হয়ে বিছানায় পড়ে আছে। তার একমাত্র আয়ের উৎসই এই কুটিরশিল্পের মাধ্যমে আসে। তার এই করুণ পরিস্থিতির কথা ভাবতেই আরো হতাশ হয়ে পড়ছে। তার সংসারে স্ত্রী সহ দুইটি সন্তান রয়েছে। ছেলে -মেয়ে দুজনেই লেখাপড়া করছে। তাদের খরচ বহন করার মতো এখন আর কেউ রইলো না।সে বাইরে থেকে কাঠ ক্রয়করে এনে কারখানায় ফিড়া-বেলুন তৈরী করে। এই ফিড়া- বেলুন দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করে থাকে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট