গাইবান্ধার মতো রংপুরে নির্বাচন চায় না কমিশন
নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের মতো নির্বাচন চায় না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ বিষয়ে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার(১৫ই নভেম্বর) বাংলাদেশ নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয় আগারগাঁওয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা এ কথা বলেন। তিনি বলেন, গাইবান্ধা-৫ আসনে অনিয়মের দ্বিতীয় প্রতিবেদন ইসি পেয়েছে। তদন্তের দুটি প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন মাঝপথে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেয় ইসি। ভোটের সময় সিসিটিভি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ এবং ৫১টি ভোটকেন্দ্রে ব্যাপক অনিয়ম পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে অনিয়ম তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কমিটি গঠন করা হয়। ৫১টি ভোটকেন্দ্রের ঘটনা তদন্ত করে গত ২৭ অক্টোবর কমিটি ইসিতে প্রতিবেদন জমা দেয়। পরে গাইবান্ধা-৫ আসনের বাকি ৯৪টি ভোটকেন্দ্রে অনিয়ম হয়েছে কি না, সে বিষয়ে পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন জমা দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় ইসি। কমিটি গতকাল সন্ধ্যায় প্রতিবেদন জমা দেয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, কমিটি ইসিতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশনাররা এখনো এ প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা করেননি। তারা শীঘ্রই এটি নিয়ে বসবে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বা কীভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে সে বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।
গাইবান্ধার ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা উল্লেখ করে রাশেদা সুলতানা বলেন, গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচনের পর জেলা পরিষদ, পার্বতীপুর পৌরসভা ও ফরিদপুরের উপনির্বাচন ভালো হয়েছে। মাঠ প্রশাসন ইসিকে সহযোগিতা করবে না—এমন কিছু নেই বলে মনে হয়। ধারাবাহিকভাবে নির্বাচন চলছে, মাঠ প্রশাসনও সাড়া দিচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, “নির্বাচন কমিশন কখনোই গাইবান্ধার মতো নির্বাচন চায় না। এ জন্য প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা প্রয়োজন। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা অসম্ভব। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সহযোগিতা ছাড়া।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট