মোঃ শাহীন আলম, স্টাফ রিপোর্টারঃ
শীতার্ত মানুষ ও অতিথি পাখি
শাহজাহান কবীর
একটি কবিতা লিখতে বসেছিলাম
কিন্তু লেখা হয়ে উঠলো না
আনমনে জানালা খুলে দেখি
অনাহারীর চোখ মুখের মতো
বিষন্ন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে গাছপালা গুলো
অদূরের পুকুর পাড়ে বাঁশঝাড়
নিশাচর প্রাণির খাদ্য অন্বেষণ
পৌষালি পবনে হুহু করে ওঠে মন।
শিশির ভেজা মায়াবী জোছনা প্লাবিত
কুয়াশাচ্ছন্ন রাতে নির্জন চারদিক
স্মৃতিগুলো বয়সভারে
সরষে ফুলের মতো
ঝরে পড়ছে ঠিক।
কুয়াশা ভেদ করে আসছে ভেসে
স্বাদের ভাঁজা ডিমের গন্ধ
পৌষের এই কনকনে শীতে
বাত ব্যথা শ্বাসকষ্ট বেজায় মন্দ।
শীতের তরতাজা শাকসবজি
ধোঁয়া উড়া চা
মা’র হাতে গরম পাটিসাপ্টা
বা নারকেল গুড়ে ভাঁপা পিঠা ;
সকালে সূর্য্যি মামা উঠলে হেসে
সোনারোদ তার চেয়ে মিঠা।
দারিদ্রসীমার নিচে যাদের বসবাস
জীবন এখন তাদের কুয়াশা বন্দি ঘাস।
খাদ্যাভাবের সাথে বস্ত্রাভাব
হাসে তাদের কাছে এসে
মানবদরদীরা হাতটা বাড়াও
-একটু ভালবেসে
ভালো থাকি আমরা সবাই মিলেমিশে।
নানান জাতের অতিথি পাখি
বহুদূর হতে উড়ে আসে
এই আমাদের দেশে
শিকারী হয়ে ওঠো না তুমি
শখের অবুঝ সেজে।
নানান জাতের ভেষজ, ফুল -ফল
বা প্রজনন করে
কতো যে বড়ো সম্পদ তারা রেখে যায়
অর্থ দিয়ে যা সহসা পাওয়া দায় !
তাই,
শীতার্ত মানুষ আর অতিথি পাখির তরে
বিবেকটা জাগ্রত হোক প্রতি ঘরে-ঘরে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট