এস এম আকাশ, স্টাফ-রিপোর্টার,
কুঁড়ে ঘরে কাটছে বৃদ্ধা আজিরন নেছার জীবন”
মোছাঃ আজিরন নেছা(৮৬) তার জীবনের শেষ বেলায় ঠিকানা হয়েছে কুঁড়ে ঘরে।
ছেলে-মেয়ে থাকার পরেও লোকের বাড়ীতে চেয়ে হাত পেতেই তার দিনাতিপাত করতে হচ্ছে।
বলছি পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার ফৈলজানা ইউনিয়ন এক নম্বর ওয়ার্ডের কচুগাড়ী গ্রামের বৃদ্ধা আজিরন নেছার কথা।
তার প্রথম স্বামী মারা যাবার পর দলিল উদ্দিন মোল্লার সাথে দ্বিতীয় বিয়ে হয়। প্রথম সংসারে দুই ছেলে মেয়ে ও দ্বিতীয় সংসারে দুই ছেলে মেয়ে থাকার পরেও তাকে দেখার আজ কেউ নেই।
তার জীবনের পড়ন্ত বেলায় এসে সেই দুঃখ-কষ্টের কথাই প্রকাশ করেছেন অঝরে অশ্রু বিসর্জনের মাঝ।
তিনি বলেন এক সময় স্বামীর চোখের মনি ছিলাম।
আজ আমি ভিখারিনী, নিজ গর্ভের ছেলে-মেয়েরাও খোঁজ খবর নেয়না।
তাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান সরকারি সাহায্য সহযোগিতার মধ্যে বয়স্ক ভাতা কার্ড আছে আমার নামে তাতে নাম মাত্র টাকা পাই! তাতে কাপর-চোপর কিনতেই শেষ হয়ে যায়।
লোকের বাড়ীতে কাজ করবো তারও কোন শক্তি নেই শরীরে।
বসবাসের কোন ভিটে মাটিও নেই।
এলাকার লোকজনের অনুরোধে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লোকের ভিটায় ঝুপড়ি ফেলে বসবাস করে আসছেন।
এখন নিত্য রোগ বাসা বেঁধেছে তার শরীরে।
ভিক্ষা বৃত্তি, যাকাত সাদকা, পোষের টাকায় কোন মত দিনাতি করেন।তার ইচ্ছা সরকারী ভাবে যদি তাকে কেউ একটি ঘরের ব্যবস্থা করে দিতো তবে বাকি জীবনের কয়টা দিন একটু শান্তিতে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারতেন।
তিনি বলেন আমার নিজের ভোট ছাড়া আর কোন ভোট নেই! তাই চেয়ারম্যান, মেম্বারদের কাছে গেলে কথাই বলেননা।আরও বলেন শুনেছি সরকারী ঘর নিতে হলে ত্রিশ-চল্লিশ হাজার টাকা দেওয়া লাগে, আমি বাপু এত টাকা কোনে পাবো?
তুমি আমার খোঁজ নিতে আইছেও, যদি পারো তবে আমাকে একটা ঘর বা মাসিক কার্ডের ব্যবস্থা করে দেও…বাকি কয়টা দিন যে কোন এক ভাবে শান্তিতে বসবাস করতে চাই।
নায় পেট ভরে খেতে চাই”
না হয় একটু আরামে ঘুমাতে চাই।
কারন নিত্য রোগ শোকে জরাগ্রস্ত জীবন আর ভালো লাগেনা। তিনি বলেন, আমি চেয়ারম্যানের বাড়ীত গেছিলাম, মেম্বারের বাড়ীত গেছিলাম তারা, আমার সাথে ভালো করে কথাও বলে নাই।
আমি সারা জীবন যতদিন বাঁচবো সরকারের জন্য দোওয়া করবো যদি সরকারী ঘর পাই।
চেয়ারম্যান, মেম্বার সাহেবের ভাষ্য মতে
একজন কে একটি কার্ডের বেশি কিছু দেওয়া যায় না।
তাছাড়াও আজিরন নেছার বয়স বেশি তাই তিনি ভিজিডি বা অন্য কার্ড/সহযোগিতা পাবার অনুপযোগী।
আজিরন নেছার স্পর্শ কাতর আবেগ অনুভূতি প্রকাশে আমি সত্যি সত্যিই বিমর্ষ হয়ে গিয়েছিলাম।
কিন্তু ব্যক্তি পর্যায়ে যতটা সহযোগিতা সম্ভব তা করে আপনাদেরকে বিষয়টি জানানোর নিমিত্তে প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করছি।
যদি কেউ কোন সহযোগিতা করতে চান বা ইচ্ছা প্রকাশ করেন তবে।নিম্নের নম্বরে যোগাযোগ করে বাধিত করতে পারেন।
01713 767157)
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট