কবি ও সাহিত্যিকঃ রৌনকা আফরুজ
সরকার হুযোকে যাচ্ছে দুযোখে
নেই যেনো কেউ দাঁড়াবে আজ রুখে”।
রাজনৈতিক সমুদ্রে সারা বিশ্বে আজ বিভিন্ন রাষ্ট্রে সরকার পরিবর্তনের ঢেউ পাড়ে এসে আঁছড়ে পড়েছে। সাথে হাওয়া উল্টো দিকে বইছে এবং স্রোত বিপরীতমুখী।
একটি সরকার যত ভালো কাজই করুক না কেন শুধু মাত্র দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি পারে সরকার পরিবর্তন করতে অথবা সরকারের ভিত নড়বড়ে করে দিতে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি একটি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া। রাষ্ট্রের সকলেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই প্রতিক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্ত। এর ফল এতটাই ভয়াবহ যে তা জনগণকে টেনে ঘরের বাহির করে দিতে পারে এবং জন্ম দিতে পারে সরকার বিরোধী আন্দোলনের।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সরকারের অন্যান্য খুব ভালো কাজগুলোকে ম্লান করে দেয়। পাঁচ টাকার একটি দিয়াশলাই কোটি টাকার সম্পদ পোড়ানোর জন্য যথেষ্ট। তেমনি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বিভিন্ন রাষ্ট্রের ক্ষমতাসীনদের হটানোর জন্য যথেষ্ট।
সরকার পরিবর্তন কতটা সুফল বয়ে আনবে ভাবছেনা খুব একটা কেউ। বুঝে, না বুঝে সরকার বিরোধী আন্দোলন দিচ্ছে দৌড়।
আজকাল বাংলাদেশেও বাঙালিরা হুযোকে যাচ্ছে দুযোখে। জনমত নিয়ে খেলছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো সেই সুযোগে।
সরকার পরিবর্তন এর কথা জনগণ ভাবতেই পারে। তবে এর আগে ভাবা উচিত ক্ষমতাসীনদের চেয়ে ভালো কোন নেতা নেতৃ আছে কিনা, ভালো কোন দল আছে কিনা।
জনগণ দীর্ঘস্হায়ী উন্নয়নকাঠামো বুঝতে চায় না। বুঝে কম দামে জিনিস কেনা। জনমত ধরে রাখতে চাইলে আগে দ্রব্যমূল্য যাতে না বাড়ে সে দিকে আগে খেয়াল দেওয়া উচিত এবং পরে অন্যান্য বিষয়ে উন্নয়নের কথা ভাবা উচিত।
আমজনতার অনেকেই বুঝতে চাইছে না বাংলাদেশের অর্থনৈতিক দূরবস্হার জন্য যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি দায়ী। যদিও বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রই অর্থনৈতিক মন্দার শিকার। সে সকল রাষ্ট্রেরও একই অবস্থা।
জনগণের একটা বিরাট অংশ এতটাই রাগ করেছে যে আন্দোলনের ডাক যে দিচ্ছে তার পিছনেই যোগ দিচ্ছে।
সে সুযোগ এ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
জনগণ বুঝতে চাইছে না কঠিন সময়টা সাময়িক। তারা দেশদ্রোহীদের সাথেও সরকার বিরোধী আন্দোলনে যোগ দিচ্ছে। খাল কেটে কুমির আনতে চাইছে।৷ কুমিরের কার্যাবলী কতটা মারাত্মক হবে এখনই ভাবতে চাইছে না।
স্বেচ্ছায় যারা কুমিরের খাবার হতে চাইছে তাদের কথা ভিন্ন কিন্তু যারা কুমিরের খাবার হতে চায়না কুমির তো সুযোগ পেলে তাদেরও ছাড়বেনা।
রাজনৈতিক মাঠে এই মূহুর্তে অসুরেরা গোল দিলে রাষ্ট্রের অবস্থা এত ভয়াবহ হবে যা ১৯৭১ ও ১৯৭৫ সালেও হয়নি।
দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করে জনমতকে সুস্থ করে তোলার দায়িত্ব সরকারের।
এখনই সময় জনমতকে সুস্থ করার। দেরি করা যাবেনা কারন সময় গেলে সাধন হয়না।
বিশ্বের কোন রাষ্ট্রই এই মূহুর্তে সরকার পরিবর্তন কোন সমস্যার সমাধান করতে পারছেনা। তবুও পরিবর্তনের হাওয়া জোড়ে বইছে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট