কুমিল্লা থেকে এস এম মনি সরকারঃ
কুমিল্লার বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ কয়েক কিলোমিটার সড়ক জুড়ে জনতার স্রোত দেখা দিয়েছে। কুমিল্লার টমছম ব্রীজ থেকে শাসনগাছা, রানির বাজার থেকে চকবাবজার পর্যন্ত সড়কে নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। টাউন হলে লোকে লোকারণ্য হওয়ায় নেতা-কর্মীরা এ নগরীর বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নেন।
এর আগে, শনিবার সকাল থেকে দফায় দফায় মিছিল নিয়ে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে সমাবেশে যোগ দেন নেতা-কর্মীরা। সকাল ১০ টা বাজার সাথে সাথে পুরো টাউন হল মাঠ কানায় কানায় পুর্ণ হয়ে যায়। এ সমাবেশকে কেন্দ্র সরগরম হয়ে উঠেছে কুমিল্লা নগরী।
শনিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন সমাবেশস্থলে। ভোর থেকে সময় গড়ানোর সাথে সাথে নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। বিএনপির অন্য গণ সমাবেশের চেয়ে কুমিল্লার গণসমাবেশ হবে সবচেয়ে বড় গণ সমাবেশ হবে বলে মনে করছেন নেতা-কর্মীরা।
এদিকে, সমাবেশের শুরুতে স্থানীয় জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখছেন। বেলা ১২ টার দিকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে আসার কথা রয়েছে।
শনিবার সকালে একাধিক বিএনপির নেতা-কর্মী বলেছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি দিতে হবে। চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে কুমিল্লায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে সাধারণ মানুষ বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো অংশ নিয়ে গণসমাবেশকে জনসমুদ্রে পরিণত করেছেন। সরকার পতনের ডাক দিয়েই আমরা ঘরে ফিরবো। মানুষের স্রোত কুমিল্লামুখী আসতে শুরু করেছে, কুমিল্লা জনসমুদ্র হবে। সমাবেশস্থল কুমিল্লা টাউন হল মাঠের পাশ্ববর্তী বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, সকাল ৯টার আগেই চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া, দেবিদ্বার, দাউদকান্দি, মেঘনা, হোমনা, তিতাস, মুরাদনগরসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতা-কর্মীরা এসে জড়ো হচ্ছেন। সেখান থেকে পৃথক পৃথক মিছিল নিয়ে তাঁরা গণ সমাবেশে যোগ দেন।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট