জি আর রনক রাজশাহী ব্যুরো:
রাজশাহীর তানোরে গ্রামবাসির বাধা উপেক্ষা ও নীতিমালা লঙ্ঘন করে অবৈধ পুকুর খনন এবং সরকারি পাকা রাস্তা নস্টের পাশাপাশি ফসলি জমি ভরাট করে মাটি বাণিজ্যর অভিযোগ উঠেছে। তবে রহস্যজনক কারণে উপজেলা প্রশাসন নিরব ভুমিকা পালন করে চলেছে। এঘটনায় গ্রামবাসির মাঝে চরম উত্তেজনা ও বিস্ফোরণমূখ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারে বলে সাধারণ মানুষ শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। গ্রামবাসি বলছে, প্রশাসন অবৈধ পুকুর খনন বন্ধ করছে না, যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে তার দায় নিবে কে ? উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার অবগত করা হলেও তারা বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে বলে গ্রামবাসির অভিযোগ।স্থানীয়রা বলছে, প্রশাসনের মদদ ব্যতিত প্রকাশ্যে দিবালোকে সরকারি পাকা রাস্তা নস্ট করে মাটি বানিজ্যে ও ফসলি জমি ভরাট হয় কিভাবে ? জনৈক রাজ্জাক, সাইদুল ও কালাম বলেন, গত শুক্রবার চাঁন্দুড়িয়া ইউপিতে উচু জমির মাটি কাটার অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালতে দুই জনের কারাদন্ড দিয়েছেন ইউএনও সাহেব। অথচ আজিজপুর পুর্বপাড়া প্রকাশ্যে দিবালোকে পুকুর খনন করা হচ্ছে। তারা বলেন, বার বার জানানোর পরেও ইউএনও সাহেব কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না, কিন্ত্ত কেন-?
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কলমা ইউনিয়নের (ইউপি) আজিজপুর পুর্বপাড়া গ্রামে বিএনপি মতাদর্শী নজরুল ইসলাম প্রায় ১৫ দিন ধরে পুকুর খনন করছে। এদিকে পুকুরের মাটি বিভিন্ন এলাকায় পরিবহণ করতে গিয়ে সরকারি কাঁচা-পাকা রাস্তা নষ্ট ও পরিবেশ দুষণ করা হচ্ছে। হালকা বৃষ্টি বা ভারী কুঁয়াশা হলে এসব রাস্তায় যানবাহন চলাচল কঠিন হয়ে পড়বে। সিদ্দিক নামের এক ভেঁকু দালাল বলেন, ইউএনও অফিস, থানার অনুমতি নিতে এবং সাংবাদিক মিলে অনেক প্রায় তিন লাখ টাকা খরচ হয়েছে, তাই মাটি বিক্রি করতে না পারলে পোষাবে না। আর মাটি বিক্রি করবেন বলেই তো খরচপাতি করে অনুমতি নেয়া, নইলে অনুমতির কি প্রয়োজন। অথচ ৬ মাসও হয়নি এই রাস্তাগুলো নির্মাণ করা। ওভারলোড অবৈধ মাটির ট্রাক চলাচল করায় এবং ট্রাক থেকে মাটি পড়ে এরি মধ্যে রাস্তার বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। কৃষি কাজে ব্যবহৃত এসব ট্রাকের না কোন রোড পারমিট না আছে কোন বৈধ কাগজপত্র। কিন্ত্ত তারা রাস্তায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলেছে। ইউপি সদস্য আবুল কালাম বলেন, ভেঁকু দালালদের চরম দৌরাত্ম তারা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। কিন্ত্ত তারা বার বার চেষ্টা করেও অবৈধ মাটি বাণিজ্য বন্ধ করতে পারছেন না।কদিন পরেই এসএসসি পরীক্ষা, কিন্ত্ত ভেঁকু ও ট্রাক্টরের বিকট শব্দ ও ধুলাবালিতে জীবন অতিষ্ঠ, প্রশাসনকে বলেও কোনো কাজ হয়নি। তাই তারা গণমাধ্যম কর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তিনি বলেন, পাকা-কাঁচা রাস্তাগুলো যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তার দায় নিবে কে ? পুকুর মালিক নজরুল ইসলাম বলেন, ইউএনও সাহেব তাকে পুকুর খনন ও মাটি বিক্রির অনুমতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের এক নেতাকে দাওয়াত দিয়ে খাইয়ে এক লাখ টাকা দিতে হয়েছে। এছাড়াও আরো প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে। এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, মাসিক মিটিংয়ে আমরা এই বিষয়টি তুলে ধরেছি। কোন ভাবেই যেন মাটি পরিবহনের ট্রাকের কারণে বা মাটি পড়ে রাস্তার ক্ষতি না হয় আমরা সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি। কিন্ত্ত উপজেলা প্রশাসন রহস্যজনক ভুমিকা পালন করে চলেছে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট