স্টাফ-রিপোর্টার(পাবনা থেকে):
পাবনার চাটমোহর উপজেলার ফৈলজানা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড নেংড়ী কৃঞ্চরামপুর গ্রামের শতবর্ষী মোঃ আনার আলী (১০২) ভিক্ষা বৃত্তিকে
পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
তার সাথে কথা হয় ও প্রশ্ন করি, চাচা আপনি এই নিন্দনীয় পেশা-কে কেনো বেছে নিলেন?
তিনি বলেন, বাবারে
এই বয়সে আল্লাহ রাসুলের নাম জপার সময়! পেটের দায়ে লোকের দ্বারে দ্বারে ঘুরি, পেটের ক্ষুধা নিবৃত করতে!
কোন উপায় না থাকলেইতো লোকে ভিক্ষা করে, আল্লাহ মৃত্যুও দেয়না,
মরতেও পারিনা!
আবার তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,
আমার মাত্র দুটি কন্যা সন্তান।
অনেক দিন পুর্বে মেয়েদের বিয়ে দেই।
ছোট মেয়ে প্রায় ২০ বছর পুর্বে এক কন্যা সন্তান কে কোলে নিয়ে স্বামী পরিত্যাক্তা হয়ে আমার আশ্রয়ে আসে।
নাবালিকা নাতনিকেও মানুষ করে গত বছর বিয়ে দিয়েছি।
ছেলে সন্তান না থাকায় আজকে ভোগান্তির শেষ নেই!
পরের জায়গায় বাড়ী করে আছি।
সরকারী ভাবে কোন পৃষ্ঠপোষকতা পাননি?
এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারী ভাবে বয়স্ক ভাতা কার্ড পেয়েছি, ৬ মাস পর পর ১,৫০০টাকা করে পাই!
তা দিয়ে তো আর জীবন চলেনা!
তাই শরীরে কুলায় না তবুও পেটের ক্ষুধা নিবৃত করতে লোক লজ্জা পেছনে ফেলে লোকের দ্বারস্থ হয়েছি।
তিনি আরোও বলেন, যখন শরীরে শক্তি ছিলো লোকের বাড়ীতে কাজ কর্ম করে সংসার চালিয়েছি। এখন
ঘরে অসুস্থ স্ত্রী, ঔষুধ কিনতে প্রতি অনেক টাকা লাগে!
পরিস্থিতি আমাকে আজকে লোকের দ্বারস্থ করেছে।
আমি কোন উপায় না পেয়েই
বাবারে… এই জঘন্য পেশায় নিয়োজিত হয়েছি।
তিনি বলেন তুমি আমার জন্য কিছু ব্যবস্থা করে দাও বাবা!
যদি আমার মেয়েটা একটা কার্ড পেতো তাহলেও ভালো হতো!
এ বিষয়ে কথা বলতে ফৈলজানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হাফিজুর রহমান হাফিজের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বারের দায়িত্ব এই বিষয়টি দেখা শোনা করার!
আমি আনার আলীর মত লোকেদের দেখাশোনা করার জন্য সমাজের বিত্তশালী ও বিবেকবান সচেতন নাগরিকদের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
সরকারের উর্ধতন মহলের, জনপ্রতিনিধিদের সদয় বিবেচনা কামনা করছি যাতে আগামীতে আর কোন শতবর্ষী আনার আলী কে ভিক্ষাবৃত্তি করতে জীবনের পড়ন্ত বেলায় অশ্রুসজল চোখে লোকের দারস্থ হতে না হয়।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট