ইফতেখার ইবনে কবির
কবিতা ও সাহিত্য বিষয়ক প্রতিনিধি
ডিউটি দস্যুরা ভূমি দস্যুদের চেয়েও মারাত্মক।
কোন অফিসে যদি একই এলাকার লোকজন বেশি থাকে এবং ইচ্ছে করলে এলাকার কর্মকর্তা, কর্মচারীরা একে অপরকে দূর্নীতি করার জন্য ছায়া, কায়া ও মায়া দিতে পারে সে সকল অফিসে দূর্নীতি সবচেয়ে বেশি হয।
এলাকায়নে দূর্নীতির শিখর অনেক গভীরে। নিজ এলাকার কর্মকর্তা ও কর্মচারী দিয়ে অফিসে যারা দূর্নীতি করাতে চায় বা করতে চায় ছলে, বলে ও কৌশলে যাবতীয় অর্থনৈতিক দায়িত্ব প্রশাসনকে হাত করে নিয়ে নেয়।এর ফলে অনেক যোগ্য লোক প্রাপ্য ডিউটি পায়না। পদমর্যাদার সাথে ডিউটির মিল খুঁজে পাওয়া যায় না।
উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় কারো পদের নাম যদি কারো হয় ” সিনিয়র সুপারভাইজার -কাম হিসাব রক্ষক” তখন সে সিনিয়র সুপারভাইজারের দায়িত্ব ভালোভাবে বুঝে পায় কিন্তু দিন যায়, মাস যায়, বছর যায় পায়না হিসাব রক্ষকের দায়িত্ব। অর্থনৈতিক দায়িত্বগুলোই পাওয়া যায় না। কি এর রহস্য?
যে সকল ডিউটি দস্যুরা পদমর্যাদা অনুযায়ী নিজ ডিউটি করে না অন্যের অর্থনৈতিক ডিউটিগুলো করে
তারা কতনা নাটক সাজায়। তাদের নাটকে আর তাদের চাটকে মনে হয় এগুলোই যেন চাকরির সংবিধান।
ডিউটি দস্যু যেন দুধে ধুয়া তুলসীগাছ। বলে বেড়ায় আগের অফিস প্রধান দায়িত্ব দিয়ে গেছে। দুঃখের বিষয় বর্তমান অফিস প্রধানরাও যেনো অন্ধ। চশমায় যেনো কাদা লেগে গেছে।
কতিপয় শেলটারদাতা ডিউটি দস্যুর এতটাই প্রশংসা করে যে তাকে এসব কাজে সাহসী করে তুলে। শেলটারদাতারা প্রাপ্য ডিউটি থেকে বঞ্চিত কর্মীকে এতটাই কলন্ক দেয় যেনো ডিউটি পাওয়ার যোগ্য নয়।
এ কলন্ক বঞ্চিত মানুষটি প্রাপ্য নয়।
ডিউটি দস্যু মায়ের পেট থেকে যেন অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছে। কি ভাব! কি সাব! জগতে আর কেউ যেনো দক্ষ নয়। যেখানে দুই শিফট চালু সেখানে একজনই দুই শিফটের লাভ লস মোকাবিলা করে।
কি এর রহস্য?
ডিউটি দস্যুরা এত সাপোর্ট কেন পায়?কেন পদমর্যাদা না থাকলেও তাকে অফিসের হর্তা ও কর্তা দুইই বানানোর চেষ্টা করে শেলটার দাতারা?
শুধু অর্থনৈতিক ডিউটিগুলো ডাকাতি হয়ে যায়।
কেউ ঝাড়ুদারের ডিউটি, ডিসওয়াশের ডিউটি ডাকাতি করেনা।
একমাত্র ডিউটি দস্যু জানে অর্থনৈতিক ডিউটি কত্ত মজা। শেলটারদাতারাও হয়তো জানে।
বাকিরা এখনো জানেনা অর্থনৈতিক ডিউটি কত্ত মজা।
ডিউটি দস্যুরা প্রতিষ্ঠিত এলাকায়নের কারনে।
তাদের জন্য বঞ্চিতদের পদমর্যাদা খাট হয় এবং ষড়যন্ত্রের শিকার হয় বঞ্চিতরা।
যে সকল অফিসে ইচ্ছে করলে দূর্নীতি করা যায় এবং কতিপয় লোকের অর্থনৈতিক দূর্নীতি করার ইচ্ছে থাকে অথবা কতিপয় লোক দূর্নীতির সাথে জড়িত থাকে সে সকল অফিসে চোরের পাওয়ারফুল সিন্ডিকেট থাকে।
তারা দুর্নীতি করতে এবং দূর্নীতি দমনকারীকে হেনস্থা করতে এতটাই পারদর্শী মনে হয় ট্রেনিংপ্রাপ্ত।
দূর্নীতিবাজেরা সবধরনের ফুল তুলে রাখে। যখন যে ফুলে যে দেবতা তুষ্ট হয় তখন সে ফুল দেয়, ফুলের অভাব হয়না। তারা সে ফুল দিতে ভুল করে না এবং ভুলে যায়না।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট