প্রভাষক এস এম মনিরুজ্জামান আকাশ
===
অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হলো দেখতে গিয়ে কনে-
স্ববান্ধবে গেলাম সানন্দে ব্যথা পেলাম মনে,
পাঁচ জনে গেলাম দলবেঁধে বাঁধ ভাঙ্গা আনন্দে-
ফিরে এলাম একাকী পিছে মন ভেঙ্গে দ্বন্দ্বে!
হয়তো বুঝিনি হয়েছিলো আপনারই ভুল-
তাইতো সতীর্থরা আসতে ফিরে হয়েছিল ব্যাকুল,
গেলাম পাঁচ জন এলাম এক হক্কে এক ফিরে,
ভাবি! হায়রে বন্ধুত্ব; রেখেছি এতদিন তা ধরে!
কনে দেখার পরিবেশে নাস্তা পানি গ্রহনে-
করেনি এত টুকুও দেরী তারা গলাধ করনে,
রুটিন মাফিক খানা পানি গ্রহনের বেলায়-
করেনি কেউই সামান্য দেরী খেতে অবহেলায়!
কনে দেখতে গিয়ে প্রশ্ন চালাচালির পর্যায়ে-
সৌজন্যতা বোধে রেখেছি মান সম্মানী দিয়ে,
তড়িঘড়ি করে হলো যে কথিত কনে দেখা শেষ-
উদ্যৃত হয়ে বাড়ী ফিরতে সকলে করলো মনোনিবেশ!
এলাম সকলেই পিডিসি হাসপাতালে দেখতে রুগী-
সেখানে ছিলেন আঃ সালাম ভাই হয়ে ভুক্তভোগী,
পাঁচতলায় উঠলাম গনি ও আমি সৌজন্য সাক্ষাতে-
আলাপ হলো রোগ নিয়ে আঃ সালাম ভাই সাথে!
বিদায় নিয়ে চলে আসতে বাঁধলো যত বিপত্তি-
বাইকের পার্টস কিনতে যাবো গনি দিলো আপত্তি,
একাকী গেলাম পার্টস কিনতে গেলোনা সাথে কেউ-
অসৌজন্যতা বোধ বুঝলাম,বুকে বইলো ঢেউ!
ফোন করলাম তিনজনকে; কেউ ধরলোনা বলে-
অবশেষে সিএনজি চড়ে মুলগ্রাম এলাম চলে,
দেখলাম সেথায় দোকানে আছেন বসে আরিফ ভাই-
গিয়ে তারে সালাম দিয়ে কর জোড়ে ক্ষমা চাই!
বাইকে আসতে আটলংকা বাজারে প্রেট্রোল তুলি-
দেখলাম তখন আসছেন রিপন-গনি; কি করে ভুলি,
দর্জি মামুন ভাই ছোট বেলার বন্ধু লোক বলে-
সেখানেও দিলাম একটু সময় যে দুঃখ মাশুলে…
যখন আসলাম বাড়ী ফিরে রাত্রি বাজে নয়’টা-
ধরলো স্টলে লোকজন কখন বাজবে বিয়ের ঘনঘটা,
কি বলবো লোকজনকে ভেবে কনে দেখার কথা-
তেল বাত্তি পাটি তাসেও গোলাম না পাওয়ার ব্যথা……
১লা ডিসেম্বর’২০২০ইং,চলনবিল, পাবনা)
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট