নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার বালু ব্যবসায়ী মো. কাওছার খানের হত্যাকান্ডকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের উদ্দশ্যে সমকামিতাকে সামনে আনা হয়েছে দাবী করে প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ওই ব্যবসায়ীর পরিবারের সদস্যরা।
মঙ্গলবার সকালে চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে নিহত কাউসার খানের মা কুলসুম বেগম, স্ত্রী শারমিন আক্তার, ভাই লিয়াকত খান ও ইলিয়াস খানসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
পরিবারের পক্ষ হতে বলা হয় নিহত কাওছার খান কখনও এই ধরনের অপ্রীতিকর (সমকামিতা) ঘটনার সাথে জড়িত ছিলেন না, তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। সমকামিতার অভিযোগ তুলে মামলা ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে দাবী করেন তারা।
অধিকতর তদন্তের দাবি করে মানববন্ধনকারীরা প্রকৃত সত্য উন্মোচন করে,এই হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবী ও জানান।
উল্লেখ্য যে, উপজেলার এম,কে ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা বালু ব্যবসায়ী মো. কাউসার খানের লাশ চর হরিরামপুর ইউনিয়নের বিশাই মাতুব্বরের ডাঙ্গী পদ্মার পাড় নিকটবর্তী এলাকা থেকে ২৬ নভেম্বর দুপুরে উদ্ধার করে পুলিশ।
এর আগে ২৫ নভেম্বর রাত থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
এদিকে লাশ উদ্ধারের ১২ ঘন্টার মধ্যে ২৬ নভেম্বর দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার বিএস ডাঙ্গী প্রামের ১৬ বছর বয়সী কিশোর (শাফাওত ইসলাম সিফাত) ও তার পিতা শাহীন মোল্লাকে আটক করে পুলিশ।
২৭ নভেম্বর দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে আটক কিশোর আসামীর স্বিকারোক্তির বরাত দিয়ে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান জানান, ছুরি দেখিয়ে ভীতি সৃষ্টি করে জোর পুর্বক সমকামীতা করার চেষ্টাকালে বলাৎকার চেষ্টাকারীর সেই ছুরিটিই কৌশলে ছিনিয়ে নিয়ে তা দিয়েই ওই কিশোরই কুপিয়ে হত্যা করা হয় ওই ব্যবসায়ীকে।
তিনি জানান, ইতিপুর্বেও একাধিকবার ওই ব্যাক্তি কিশোরটিকে নিয়ে জোরপুর্বক সমকামিতায় লিপ্ত হয়। স্বাভাবিকভাবে সমকামিতা করতে না দেয়ায় এবার ছুরি দেখিয়ে ভীতি প্রদর্শন করে সমকামী সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করা হয়।
এ সময়,ওই কিশোর ক্ষুব্দ হয়ে কৌশলে ছুরিটি ছিনিয়ে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
তিনি আরো জানান, হত্যার পর ওই কিশোর তার পরিবারকে বিষয়টি জানালে কিশোরের পিতা মো. শাহীন মোল্লা ঘটনা সংশ্লিষ্ট আলামত ধ্বংসের পরামর্শ দেয়। তার পরামর্শে পরিধেয় বস্ত্র ও মোবাইল পুড়িয়ে ধ্বংসের চেষ্টা ও ওই ব্যবসায়ীর ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি সংশ্লিষ্ট উপজেলার বাইরে সদর উপজেলার মধ্যে ফেলে দেয়া হয়। পুত্রকে আলামত নষ্টের এমন পরামর্শ দেয়ায় পিতা শাহীন মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবী পুলিশের।
সাংবাদিক সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইমদাদ হোসাইন, সুমন রঞ্জন সরকার, চরভদ্রাসন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিন্টু মন্ডল প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট