মোঃ তপু শেখ
গোপালগঞ্জ স্টাফ রিপোর্টার
পেয়ে সচিবালয়ে যুক্ত হয়েছেন।
জেলা প্রশাসক হিসেবে গোপালগঞ্জে যোগদানের পর শাহিদা সুলতানা জেলার উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদের ঘর প্রদান কর্মসূচি সফলতার সঙ্গে বাস্তবায়নের পাশাপাশি করোনা অতিমারি পরিস্থিতি মোকাবেলা এবং নিম্নআয়ের প্রান্তিক মানুষদের সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে নিজেকে একজন মানবিক মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন। গোপালগঞ্জবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত পাঁচুড়িয়া খালের প্রাণ ফিরিয়ে আনতে তিনি উদ্যোগ গ্রহন করেন এবং ৬৩ বছর পর পাঁচুড়িয়া খালের প্রাণ ফিরে পায়। যা ছিল গোপালগঞ্জবাসীর প্রানের দাবী।
বিদায় বেলা শেষ কার্যদিবসে কংসুর খালের সাথে মধুমতি নদীর সংযোগ স্থাপন করে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা হাজার হাজার মানুষের অনাবাদি জমি আবাদের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন এই মানবিক জেলা প্রশাসক।
সরকারি রুটিন ওয়ার্কে থেকেও সাধারণের মন জয় করা একজন মানবিক জেলা প্রশাসক হচ্ছেন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা যোগদান করার পর থেকেই সরকারি সেবা সর্বসাধারণের দুয়ারে পৌছিয়ে দিতে নিজেকে নিবেদন করেছেন। তার কর্মের দ্বারা গোপালগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষের মন জয় করেছেন। বাড়িয়ে দিয়েছেন মানুষের প্রতি মানবিকতার হাত। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের দরজা সত্যিকার অর্থেই উন্মুক্ত ছিলো সকলের জন্য। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের কাছে তিনি একজন সজ্জন,পরোপকারি ব্যক্তি হিসেবে অল্প সময়ে পেয়েছেন পরিচিতি। রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ীসহ সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সেতু হিসেবে কাজ করেছেন। ঘুর্ণিঝড়, বন্যা সহ যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়তেন। বলা যায় তিনি কখনো সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেননি। তিনি সকলকে নিজের আপন মানুষ ভেবে কাজ করেছেনে এবং সেটা সবার চোখেও পড়েছে। দীর্ঘ এই সময়ে কেবল প্রশংসিত হয়েছেন তা নয়, কখনও সমালোচিতও হয়েছেন তিনি। তবুও মানবতার ক্ষেত্রে চুল পরিমাণ ঘাটতি রাখেননি এই জেলা প্রশাসক।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট