~|
——————————————
আসাদ আলী, কলকাতা, পশ্চিম বঙ্গ। ভারত। ‘দৈনিক খবর পদ্মা সেতু’ :
প্রায় ২৫০ বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী ঐতিহাসিক বহু ঘটনার স্বাক্ষী এই বাড়িটি। যিনি এই প্রাসাদোপম বাড়িটি বানিয়েছিলেন তিনি অতি উদার এক মহৎ হৃদয় ব্যাক্তি ছিলেন, এই এলাকায় তাঁর বহু অনন্য কৃত্ত্বি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। সেই বিষয়ে অতি সংক্ষেপে আলোচনায় আসছি। যদিও এর আগেও আমি আমাদের এই এলাকার বহু ঐতিহাসিক বিষয়বস্তু নিয়ে দৈনিক ‘পূবের কলম’এ উত্তর সম্পাদকীয় তে ‘আমার গ্ৰাম আমার অহংকার’ শিরোনামে লিখি এবং এতদঞ্চলে লেখাটির উপযোগিতা নিয়ে সাড়া পড়ে যায়। এবং এই এলাকার কিছু ঐতিহ্যবাহী ও ঐতিহাসিক বিষয়ে আমি আমার এক লেখক বন্ধুকে সহযোগিতা করি তিনি তাঁর গ্রন্থে আমার কথা উল্লেখ করেন, সেই গ্রন্থ টি কলেজ স্ট্রিট এর একটি নামি প্রকাশনী প্রকাশ করেন এবং অল্পদিনের মধ্যে নিঃশেষ হয়ে যায়। তিনি আমাকে একটি বই দিয়েছিলেন, কোন এক বন্ধু বইটি পড়ে ফেরত দিয়ে যাবেন বলেছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত বইটি আর ফেরত আসেনি। এই প্রসঙ্গে প্রচলিত একটি প্রবাদ বাক্য মনে পড়ছে, ‘বই আর বউ একবার বাইরে গেলে আর ফেরত আসেনা।’ এই অভিজ্ঞতা একবার নয় আমার বহুবারই হয়েছে, না না বউয়ের কথা নয়, বইয়ের কথা বলছি। যাইহোক–
এই মহৎ হৃদয় ব্যাক্তিটি হলেন স্বাধীনত্তোর ভারতের প্রথম অস্থায়ী বিচারপতি স্যার রমেশ চন্দ্র মিত্র। এই বাড়িটি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার রাজারহাট ব্লকের বিষ্ণুপুর বাজারের পাশে অবস্থিত। এখানেই তাঁর তৈরী প্রায় দেড় শতাব্দীর প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী ও ঐতিহাসিক উচ্চবিদ্যালয় ‘বিষ্ণুপুর স্যার রমেশ ইনস্টিটিউশন’ ও ‘স্যার রমেশ লাইব্রেরি’ অবস্থিত। তাঁরই প্রতিষ্ঠিত হাড়োয়া থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত প্রায় চল্লিশ কি. মি. পিচ রাস্তা এখনো কালের স্বাক্ষী হয়ে আছে এবং এই বিস্তির্ণ এলাকার মানুষজন ও বহু যানবাহন চলাচল করে থাকে এই প্রায় দেড় শতাব্দী প্রাচীন রাস্তাটির উপর নির্ভর করে। পাঠকদের কাছে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এই জন্য যে, এখানে যে বাড়ির ছবিটি দিলাম তা বাড়ির বাইরে থেকে নেওয়া, ভিতরের ছবি খুবই সুন্দর, সেখানে প্রাচীন ঠাকুর ঘর, দালান, বিশাল উঠোন ইত্যাদি আছে, ছবি ও নিয়েছিলাম, কিন্তু দুঃখ এই যে, স্যার রমেশ চন্দ্র মিত্র মহাশয়ের নায়েবের বর্তমান প্রজন্ম এর কাছে জানতে পারি বাড়ির ভিতরের ছবি প্রকাশ করায় নিষেধ আছে স্যার রমেশ চন্দ্র মিত্র মহাশয়ের বর্তমান প্রজন্মের। আছে বিদ্যালয়ের ছবি এবং লাইব্রেরীর।
আমি গর্বিত যে আমি এই এলাকায় জন্মগ্রহণকারী, এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র, এই লাইব্রেরীতে আমার বহু সময় কেটেছে, এই ঐতিহ্যবাহী ও ঐতিহাসিক এলাকায় আমার আমার শিশুকাল, যৌবন এখন পৌঢ়ত্বকে ছুঁয়ে ফেলেছি, এবং শেষ ঘুমটি এখানেই দেবো হয়তোবা।
•••••||•••••••••••••••••••||•••••
—— আসাদ আলী। কলকাতা।
মোঃ+৯১ ৯১২৩৬৮৯৬১৫.
কলকাতা-৭০০১৩৫.
পশ্চিম বঙ্গ। ভারত।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট